লন্ডনে তাঁর কোনও বাড়ি নেই। বুধবার আদালতে এমনই দাবি করলেন মানিক ভট্টাচ⛦ার্যের ছেলে শৌভিক। তিনি বলেন, পড়াশুনো করতে লন্ডনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে অস্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন। তাই ভিসার আবেদনে লিখেছিলেন, লন্ডনে বসবাস করতে যাচ্ছেন তিনি।
এদিন আদালতে ইডি প্রশ্ন তোলে, ২০১৭ সালে মানিকের ছেলে ২ বার ‘বসবাস করতে চাই’ বলে জানিয়ে ব্রিটেনের ভিসার আবেদন করেছিলেন। বাড়ি না থাকলে তিনি কোথায় বসবাস করলেন? এর পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মানিকের ছেলে বলেন, ২০১৬ সালে পড়াশুনো করতে প্রথমবার লন্ডনে যাই। সেকথা ভিসায় উল্লেখ করেছি। সেখানে গিয়ে আমি অস্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে থাকার অনুমতি পেয়েছিলাম। ফলে তার পর আমাকে আর নতুন ভিসার আবেদন করতে হয়নি। ‘বস🉐বাস করতে যাচ্ছি’ বলে উল্লেখ করে পুরনো ভিসাতেই ফের লন্ডনে যাই। ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমার অস্থায়ী বাসিন্দার অনুমতিপত্রের বৈধতা ছিল। সেখানে বোর্ডিংয়ে থাকতাম।
এদিন আদালতে ইডি বলে, অভিযুক্তদের হেফাজতে রেখে মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চালাতে চায় ইডি। পালটা বিচারক প্রশ্ন করেন, বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হতে অন♊্তত সাড়ে ৩ বছর লাগবে। এতদিন জেলে রাখলে কি অভিযুক্তদের মৌলিক অধিকার খর্ব হবে না?
জবাবে ইডির আইনজীবী বলেন,🔯 অভিযুক্তরা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তারা সব জানতেন। এদের জন্য হাজার হাজার যোগ্য যুবক যুবতীর সঙ্গে বছরের পর বছর বঞ্চনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গ্রাম গ্রামান্তরে যে সব শিশুরা মাইলের পর মাইল হেঁটে স্কুলে পৌঁছয় তাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন অভিযুক্তরা। স্কুলে ভুয়ো অযোগ্য শিক্ষ༺ক পাঠিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। এমন গুরুতর অভিযোগে হেফাজতে রেখেই বিচারপ্রক্রিয়া চলা উচিত। দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায় স্থগিত রেখেছেন বিচারক।