সম্প্রতি রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরুপাচার কাণ্ড, কয়লা কেলেঙ্কারি এবং একাধিক বড়সড় কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে ত🍒দন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। পাশাপাশি আরও বহু দুর্নীতি এবং অন্যান্য মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্যের সম্মতি না থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। ফলে অগ্রগতি হচ্ছে না তদন্তের, বলে একটা নতুন রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আরজি কর মামলায় 🌠সাক্ষ্য দিলেন CBI অফিꩲসার, শুনানিতে পরের সাক্ষী সঞ্জয় রায়
সিবিআই সূত্রের খবর, গত ৬ বছরে ২০০ টিরও বেশি আর্থিক দুর্নীতির মামলা দায়ের হয়েছে। প্রথমের দিকে এই সমস্ত দুর্নীতির তদন্তে সমস্যা হতো না। তবে ২০১৮ সাল পর থেকে রাজ্য সরকারের তরফে সিবিআই মামলায় সম্মতি দেওয়া বন্ধ হয়েছে।সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, মূলত দেশের সব রাজ্যের ক্ষেত্রেই সিবিআই মামলা দায়ের করে থাকে দিল্লি স্পেশ্যাল পুলিশ এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৪৬-এর ৫ এবং ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী। এক্ষেত্রে ৬ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে আর্থিক দুর্নীতি সহ অন্যান্য মামলায় এফআইআর দায়ের করার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে বিভিন্ন মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই ১৯৮৯ সাল থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষম🎃তায় আসার আগে রাজ্যে সিবিআইয়ের তদন্তের ক্ষেত্রে সরকারের কোনও বাধা ছিল না। তবে ২০১৮ সাল থেকে রাজ্য সরকারের তরফে সম্মতিতে বাধা দেওয়া হয়।&nb🗹sp;
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, একাধিক ♔দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের সম্মতির কারণে পদক্ষেপ করায় সমস্যা হচ্ছে। আধিকারিকদের বক্তব্য, অনেক রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসারদের দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই ধরেছে। তাদের আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এখনও অনেক কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের অফিসারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার নথি পাওয়া যাচ্ছে। তবে রাজ্যের সম্মতি না থাকায় সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না।
এই অবস্থায় তদন্ত শুরু করতে গেলে সে ক্ষেত্রে হয় হাইকোর্ট অথবা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিতে হচ্ছে। তাছাড়া তদন্তের অগ্রগতি বিশেষ হচ্ছে না। এই অবস্থায় বিভিন্ন সরকারি দফতরে দুর্নীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে দাবি করছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তা ইতিমধ্যেই গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে তদন্তের জন্য অনুমতি চেয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। কিন্তু, সেক্ষেত্রে জবাব পায়নি সিবিআই। তবে মামলার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সম্মতির বিষয়টি 💙এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।