মেয়ো রোডে উলটে গিয়েছিল মেটিয়াবুরুজ-হাওড়া রুটে মিনিবাস। একটা বাইককে বাঁচাতে গিয়ে উলটে যায় বাস। সেই বাইকে ছিল ১৬ বছর বয়সী ফারহান আহমেদ খান। মৃত্যু হয়েছে তার। সে ওয়াটগঞ্জের বাসিন্দা। ৪২ বছরಞ বয়সী অপর এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। তার পরিচয় জানা যায়নি।
একাধিক বাসযাত্রী আহত হয়েছেন এদিন। পুলিশ দমকল উদ্ধার করে তাদের। স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তবে এদিন দুর্ঘটনার পরে কার্যত রাজনীতির বেড়াজালকে দূরে রেখ𝓀ে আহতদের পাশে দাঁড়াল শাসক, বিরোধী উভয়ই। কে আগে আহতদের পাশে দাঁড়াবেন তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতাও কার্যত শুরু হয়ে যায়। এদিন দুর্ঘটনার খবর পেয়েই এসএসকেএমে চলে যান রাজ্য়ের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পুলিশ কর্তারাও যান এসএসকেএমে। কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক ও কলকাতা পুলিশের ডিসি দ𒈔ক্ষিণও হাসপাতালে এসেছিলেন। ট্রমা কেয়ারে গিয়ে তারা আহতদের ব্যাপারে খোঁজ নেন।
এদিকে রাজ্য়ের শাসকদলের একাধিক নেতাও এদিন আসেন হাসপাত♓ালে। পাশে থাকার বার্তা দেন তাঁরাও। এদিকে সিপিএমের একাধিক নেতাকেও এদিন হাসপাতালে দেখা যায়। তারাও আহতদ🀅ের পাশে থাকার বার্তা দেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সিপিএম নেতা ফৈয়াজ আহমেদ খানের ভাইপো অজলানও আহত হয়েছেন দুর্ঘটনায়। তাকে দেখতে সিপিএম নেতা ফৈয়াজ আহমেদ খান গিয়েছিলেন হাসপাতালে। মহম্মদ সেলিম কথা বলেন তাঁর সঙ্গে।
এদিকে সেলিম জান♏িয়েছেন, ট্রাফিকের নিয়মগুলি যেভাবে লাগু করতে হবে মুখ্যমন্ত্রী তা করছেন না বা করতে পারছেন না। এত ক্যামেরা বসানো হচ্ছে, যে ছবি দেখে পুলিশ ফাইন করে তা কী কোনও কাজে লাগে! 💙রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি।
তবে এদিন দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে সিপিএম ও তৃণমূল নেতৃত্ব। একদল বর্তমানে শাসকদলে রয়েছেন। অপরদল বিগতদিনে রাজ্য়ের ক্ষমতায় ছিল। সেই দুদলের শীর্ষ নেতৃত🦹্ব এদিন একেবারে আহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। তাদের পাশে থাকার সবরকম বার্তা দেন। রাজনীতির বিভেদ ভুলে এভাবে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।