একুশের নির্বাচনের ফলাফলের পর হিংসায় ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা কান্নাকাটি করছেন। অথচ তিনজন প্রথম সারির বিজেপি নেতা বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন। আর একজন আবার ফোন ধরছেন না। বিজে𓂃পির ভরাডুবিতে এভাবেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়েছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এই পরিস্থিতিতে সৌজন্যের নজির গড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ঘরছাড়াদের বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করা হবে বলেই টুইটে উল্লেখ করলেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, যে ঘটনার কথা তথাগতবাবু উল্লেখ করেছিলেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার আশ্বাসও দেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এমনকী ট্যুইটারে চলে দু’পক্ষের শান্তিপূর্ণ সৌজন্য বিনিময়ও। তাতে আরও অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। কারণ নীচুতলার নেতাদের কাছে রাজ্য বিজেপি নেতাদের ব্যর্থতা ফুটে উঠল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তথাগত রায়ের ওই টুইটেꦿ ‘কেএসএ’ এবং ‘ডি’ বলে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন। এই ‘কে’ বলতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ‘এস’ বলতে♉ শিবপ্রকাশ এবং ‘এ’ বলতে অরবিন্দ মেননকে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে টুইটে উল্লেখিত ‘ডি’ বলতে দিলীপ ঘোষের কথাই বোঝাতে চেয়েছেন বিজেপি নেতা। তাঁরা কেউই ঘরছাড়া দলীয় কর্মীদের দিকে নজর দিচ্ছেন না বলেই অভিযোগ তথাগতের।
তারপরই তাঁর ট্যুইট রিট্যুইট করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সৌজন্য দেখিয়ে মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান বিজেপি নেতাও। ঠিক কী লিখেছেন চন্দ্রিমা? টুইটে তিনি লেখেন, ‘স্যার আপনাকে অনুরোধ করছি আপনি বিস্তারিত তথ্য দিন। যে দলেরই হোক না কেন আমরা সকলকে তাড়াতাড়ি সুরক্ষিতভাবে বাড়িতে পৌঁছয়ে দেবো। এই ধরনের🔜 কাজে যারা꧑ জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিচ্ছি।’
এরপর টুইট করেন তথাগত রায়। আর সৌজন্যের কারণে চন্দ্রিমাকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। তিনি লেখেন, ‘༺অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার ব্যবহার প্রশংসনীয়। বলতে হবে, জয় উদারতা আনে। যদিও আমি কয়েকটা নাম আপনাকে জানাতে পারি। আপনাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ 🐷রয়েছে। আপনি চেষ্টা করলে বহু মানুষকে ঘরে ফেরাতে পারেন।’