রাজভবনে নিজের চেম্বারে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নাকি এক মহিলার শ্লীলতাহানি করেন। এমনই অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন এক মহিলা। অভিযোগকারী মহিলা দাবি করেন, স্কুল শিক্ষকের চাকরির প্রস্তাব দিয়ে রাজ্যপাল তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। এদিকে সম্প্রতি রাজ্যপাল ঘটনার দিনে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়েছিলেন। তবে নিজের চেম্বারের ১৫ মিনিটের ফুটেজ তিনি প্রকাশ করেননি। তবে রাজভবনে রাজ্যপালের চেম্বারের সেই ১৫ মিনিটের ভিডিয়ো ফুটেজ নাকি এসেছে পুলিশের কাছে। এদিকে ১৫ মিনিট যাবৎ রাজ্যপালের চেম্বারে কী হয়েছিল, সেই বিষয়ে নাকি পুলিশকে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন অভিযোগকারী। (আরও পড়ুন: বাংলায় ক্লিন সুইপ ✃'দেখছেন' মোদী, শাহের গলায় আবার 'নির্দিষ্ট আসন সংখ্যা')
আরও পড়ুন: বাংলায় এসে সরকারি চাকরি, ডিএ নিয়ে ত🔴ির ছুড়লেন হিমন্ত, বোঝালেন ৩৬-এর ফারাক
এদিকে মে মাসের ২ তারিখের এই ঘটনার নয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অভিযোগকারী মহিলা রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে যাচ্ছেন। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, সেদিন ওই মহিলা পুলিশের কাছে যাওয়ার আগে এক সচিবের ঘর꧂ে গিয়েছিলেন। পুলিশ ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, রাজভবনের কনফারেন্স রু𒉰মে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ মিনিট ছিলেন তিনি। এই ঘটনার তদন্তে এবার রাজভবনের এক চিকিৎসক ও এক সচিব-সহ তিনজনকে তলব করেছে পুলিশ। এই তিনজনকে পুলিশ জেরা করতে চায়।
আরও পড়ুন: 'শেষের ঘণ্টা' বাজার পরও পরীক্ষার খাতায় 'ল꧃িখে চললেন' দিলীপ൲ ঘোষ, আটকাল কমিশন
এদিকে রাজভবনে পুলিশ এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি রাজভবনের কোনও কর্মীকে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে বারণ করে দিয়েছেন তিনি। এদিকে গত ৮ মে রাজভবনের তরফ থেকে যে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে, তা নিয়েও আপত্তি রয়েছে অভিযোগকারী মহিলার। সেখানে সেই মহিলার চেহারা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা কারও পরিচয় প্রকাশ করে দিয়ে রাজ্যপাল আরও একট💟ি 'অপরাধ' করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'যত সময় যাবে, তত বিকৃত হতে পারে প্রমাণ', র😼ামনবমী হিংসা নিয়ে পর্যবেক্ষণ HC-র
এই আবহে রাজভবনের প্রকাশিত ফুটেজ বাদেও আরও একটি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা পুলিশের কাছে যে ফুটেজ পৌঁছেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে অভিযোগকারী মহিলা কর্মী কনফারেন্স রুমের নীচের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে যাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে রাজ্যপ😼ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর আগে সেই মহিলা রাজভবনের এক সচিব এবং এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এদিকে পুলিশ ইতিমধ্যে জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে এই তদন্ত হচ্ছে না। বরং রাজভবনের ভিতরে কী ঘটেছিল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।