সারদা মামলায় কুণাল ঘোষকে জেলে যেতে হয়েছিল। যা নিয়ে আজও খোঁচা দেন এখন বিরোধী দলন🍨েতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও জেল থেকে মুক্ত এবং একটি মামলায় বেকসুর খালাস করা হয়েছিল। এবার আরও একটি মামলায় স্বস্তি পেলেন 🦄তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। গত ২০১৩ সালে পার্ক স্ট্রিট থানায় দায়ের হওয়া মামলায় এবার তাঁকে সম্পূর্ণ নির্দোষ ঘোষণা করল এমপি–এমএলএ বিশেষ আদালত।
লম্বা শুনানির পর অবশেষে এই মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার জয় পেলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে ৪০৯ ধারাও প্রযোজ্য নয় বলে রায় দেয় আদালত। এই মামলায় কুণাল✱ ঘোষকে অভিযোগমুক্ত করে রায় দিয়েছেন বিচারক জয়শঙ্কর রায়। কুণালের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। এটা লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় খবর। কুণাল ঘোষকে এখন আর জেল খাটা আসামী বলে খোঁচা দেওয়া যাবে না। তাহলে পাল্টা মামলা করবেন তিনি।
এদিকে নিজের দোষ কবুল🀅 করার ফলে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনকেও নির্দিষ্ট এই মামলা থেকে মুক্ত করেছে আদালত। জেলের মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টার মামলায় কুণাল শুধু দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। যদিও আদালত ওই মামলায় তাঁকে কোনও সাজা দেয়নি। বরং বলা হয়েছিল, তখন কুণালের মানসিক অবস্থা ভাল ছিল না। আজ এমপি–এমএলএ আদালতের বিচারক জয়শঙ্কর রায়, কুণাল ঘোষকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৪০৯ ধারাও প্রযোজ্য নয় বলে রায় দিয়েছে আদালত। নিজের দোষ স্বীকার করে নেন সুদীপ্ত সেন। ৪০৬ (প্রতারণা) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছর জেল। ইতিমধ্যেই সুদীপ্ত সেন তার বেশি সময় জেলবন্দি। তাই তাঁর গিলটি পিটিশন গ্রহণ করে এই মামলা থেকে মুক্ত বলে রায🅺় দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: সংশোধনাগারের অন্দরে অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছে মহিলা বন্দিরা▨, কড়া নির্দ▨েশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
অন্যদিকে কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী তাঁর সওয়ালে বলেন, ‘৪০৯ ধারা তখনই কার্যকর হয়, যখন কোনও সরকারি কর্মচারী বা অফিসা🦄র সরকারি তহবিল তছরুপ করেন। এক্ষেত্রে তা নেই। কারণ কুণাল ঘোষ সরকারি কর্মচারী ছিলেন না। আর সারদার সঙ্গে সরকারি তহবিলের কোনও যোগ ছিল না।’ তাই শুনানি শেষে কুণাল ঘোষকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেছে আদালত। এই রায় ঘোষণার পরে কুণাল ঘোষ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় শুধু বলেন, ‘ঈশ্বর আছেন’। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে গোটা বিষয়টি পোস্ট করেছেন।