চূড়ান্ত নাটক হতে চলেছে বিধানসভায়। ফুল–বদল করেও তিনি বিরোধী আসনে বসবেন। আর শাসকদলের হয়ে গলা ফাটাবেন। হ্যাঁ, তিনি কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুল রায়। সদ্য পদ্মফুল ত্যাগ করে জোড়াফুলে ফিরে এসেছেন। বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দল ছাড়ার পরে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আবেদন করেছে গেরুয়া শিবির। স্পিকারের কাছে ৬৪ পাতার পিটিশন জমা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে খাতায় কলমে মুকুল এখনও বিরোধী দলের বিধায়ক। তাই বিধানসভায় মুকুল রায়ের বসার জায়গা হবে বিরোধী আসনে।তবে সেটা কোথায় হবে? বিধানসভা সূত্রে খবর, স্পিকারের বাঁ–দিকে বিরোধী দলের বেঞ্চ। সেখানে বসবেন মুকুল রায়। তবে সেটা শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গাদের জন্য নির্ধারিত আসনের থেকে একটু দূরে বসতে হবে মুকুলবাবুকে। তাঁর জন্য যে আসন বরাদ্দ হচ্ছে, সেখানে ষোড়শ বিধানসভায় (২০১৬–২১) বসতেন সুজন চক্রবর্তী। যার আসন নম্বর ৬৫। এখনও পর্যন্ত এটাই ঠিক হয়েছে বলে খবর। এখন বিধানসভায় বাম–কংগ্রেস নেই। তাই সেই জায়গা অলঙ্কৃত করবেন মুকুল রায়। বিজেপির প্রায় পাশে বসেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে সওয়াল করবেন। যা বিজেপির কাছে বেশ অস্বস্তির।মুকুল রায় যে আসনটিতে বসবেন সেটি বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ও বর্ষীয়ান বিধায়কের জন্য নির্ধারিত থাকে। দলবদল করলেও খাতায়–কলমে তিনি বিজেপির বিধায়ক। তাই ওই আসনে সপ্তদশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে বসতে দেখা যাবে মুকুল রায়কে। অনেক বিধায়ক আসন বন্টনের ক্ষেত্রে পছন্দের কথা জানান বিধানসভা কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু মুকুল রায় এই বিষয়ে কিছু করেননি। তবে মুকুলের আসনের বাঁ–দিকে শাসকদলের বিধায়করা থাকবেন। আর বেঞ্চের ডান দিকে থাকবেন বিজেপি বিধায়করা। সুতরাং বিধানসভায় মধ্যমণি সেই মুকুল রায়।এই নাটকীয় পরিস্থিতি নিয়ে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘চিরকাল চেয়ার কারও নিজের হয় না। আমি যখন প্রথমবার বিধায়ক হই, অন্য আসনে বসতাম। ২০১৬ সাল থেকে ওই আসন (৬৫ নম্বর) বরাদ্দ হয়েছিল। কে কোথায় বসবেন তা বিধানসভা কর্তৃপক্ষ স্থির করেন। তা নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে যিনি ওখানে বসবেন, তার রাজনৈতিক অবস্থান দু’রকম।’