রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় থেকে শোভন–বৈশাখী যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যেতে পারেন তাহলে তাঁর যেতে দোষ কোথায়? এই প্রশ্নই এখন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ তিনি তো এখন তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন। হ্যাঁ, তিনি মুকুল রায়। মঙ্গলবার দুপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির হলেন। কারণ দীর্ঘদিনের সহকর্মীর মাতৃবিয়োগ। তাই তিনি পৌঁছে গেলেন নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। রবিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মা শিবানীদেবী প্রয়াত হয়েছেন। এই শোকের সময় বন্ধুকে সমবেদনা জানানোর জন্য এবার পৌঁছে গেলেন মুকুল রায়। বাড়িতে প্রবেশ করে শিবানীদেবীর ছবিতে মাল্যদান করেন মুকুল রায়। তারপর একান্তে দু’জন কথাবার্তা বলেন বলে সূত্রের খবর।যখন মতভেদ তৈরি হয়েছিল তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কুমড়ো ফটাশ, বাঁটুল দি গ্রেট বলে আক্রমণ করেছিলেন মুকুল রায়। পাল্টা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও কাঁচড়াপাড়ার কাঁচা ছেলে, কাচড়াবাবু বলেছিলেন। কিন্তু এখন সব অতীত। প্রথমদিন অভিষেক, ফিরহাদদের পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রীর নাকতলার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন একদা সহকর্মী, বর্তমান বিরোধী শিবিরের নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থবাবুর বাড়িতে পৌঁছে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়–বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত বন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও।উল্লেখ্য, সাড়ে তিন বছর পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায় শুরু করার পর মঙ্গলবার দুপুরে পার্থবাবুর বাড়ি গেলেন মুকুল রায়। আসলে এই মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এত রাজনৈতিক নেতার সমাগম নিতান্তই সমবেদনার জন্য বলে আপাতভাবে মনে হলেও অন্য একটা গভীর তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের বহুদিনের বহু অভিজ্ঞ নেতা। কাজেই তাঁর বাড়িতে রাজীব, শোভন, বৈশাখীর যাতায়াত পরবর্তীকালে ভিন্ন সমীকরণ তৈরি হতে পারে। আর মুকুল তো ফিরেই এসেছেন। নতুন সমীকরণের ব্যাপার নেই। বরং সম্পর্ক সহজ করাই লক্ষ্য।