পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সেই মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরে গিয়েছিল। তবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল থেকেছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে আজ বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল র🐠াখল। এতে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এরপর এই মামলা নিয়ে রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কি না, সেদিকে নজর থাকবে সবার। উল্লেখ্য, এর আগে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টেরও আগে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। পরে সেই মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে এবার হাই কোর্টে ধাক্কা খাওয়ায় ফের রাজ্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শোনা যাওয়ার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তৃণমূল সাংসদকে জেরা করতে পারবেন। পরে সেই মামলাটি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরে যায়। সুপ্রিম নির্দেশে পুর নিয়োগ মামলাও সরে যায় তাঁর এজলাস থেকে। পুরনিয়োগ মামলাটি বিচ𒆙ারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে যায়। বিচারপতি সিনহাও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখেন। বিচারপতি সিনহার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্চ করে হাই কো🥂র্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। এদিকে এই একই মামলায় এর আগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য। যদিও সেই মামলা গত সপ্তাহে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল অয়ন শীল নামক এক ব্যবসায়ীকে। তার বাড়িতে তল্লাশির সময় উদ্ধার হয় পুরসভায় দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর নথি পায় সিবিআই। নথি উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পুর দুর্নীতিরও তদন্ত শুরু করার আর্জি জানায় হাইকোর্টে। গত ২১ এপ্রিল সিবিআইকে তদন্ত ভার দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শীর্ষ আদালত মামলায় স্থগিতাদের জারি করে। এরই মধ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলাটি সরিয়ে অন্য কোনও বিচারপতি হাতে ℱদেওয়ার কথা বলে সুপ্রিক কোর্ট। সেই নির্দেশ অনুযায়ী মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিনহার হাতে দেওয়া হয়। তিনি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখেন। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জে জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। তবে সেখানে নিস্তার পেল না তারা।