সন্দেশখালিতে ইডি ও CRPFএর ওপর হামলার পর কালিন্দী দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। কেন🧔্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কলকাতায় ছুটে এসেছেন ED-র ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সেই বৈঠকের ফল দেখা গেল শুক্রবার। এদিন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে তল্লাশির সময় কার্যত কাশ্মীরে জঙ্গিবিরোধী অপারেশনের মতো গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলল আধাসেনা। সুজিত বসুর পাড়ায় সিআরপিএফের ডেপুটি কম্যান্ডান্টের নেতৃত্বে চꦉলল সশস্ত্র বাহিনীর রুটমার্চ। জটলা করলেই লাঠি উঁচিয়ে স্থানীয়দের বাড়িতে ঢোকাল বাহিনী।
শুক্রবার সকালে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ছাড়াও তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় ও উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে তল্লাশিতে যা🎐ন ইডির আধিকারিকরা। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ সুজিতের বাড়িতে পৌঁছন তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন উপদ্রুত এলাকায় মোতায়েন বাহিনীর ধাঁচে সজ্জিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রথমে সুজিত বসুর বাড়িতে ঢুকতে বাধা পান ED আধিকারিকরা। তাঁদের আটকান সুজিত বসুর বাড়ির কেয়ারটেকার। তবে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখানোর পর অবশ্য ঢুকতে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না তাঁর কাছে।
ওদিকে বেলা বাড়তে সুজিত বসুর লেক টাউনের বাড়ির সামনে বাড়তে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের সংখ্যা। তাদের পরনে ছিল বুলেট প্রুফ জ্যাকেট। মাথায় ছিল হেলমেট। হাতে ছিল লাঠি ও ঢাল। ꦜসঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়া টিয়ার গ্যাসের সেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছিল বাহিনীর জওয়ানদের কাছে।
বেলা ১০টার পর CRPFএর ডেপুটি কম্যান্ডান😼্টের নেতৃত্বে এলাকায় রুট মার্চ শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সুজিত বসুর বাড়ি ও শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের আসে পাশে সমস্ত জটলা সরিয়ে দেন তাঁরা। কেউ অক🐼ারণে রাস্তার পাশে বসে থাকলে তাঁকে রীতিমতো ধমক দেন বাহিনীর জওয়ানরা। রাস্তায় অকারণে কোনও গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে তাদের সরে যেতে বলেন।
সূত্রের খবর, সন্দেশখালিতে তৃণমূলি গুন্ডা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী যে পুরো প্রস্তুতি নিয়ে যায়নি তা উঠে এসেছে বুধবার ইডির ডিরেক্টরের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের বৈঠকে। তার পরই পুরো ♑প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্যে তল্লাশিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় সেখানে। সিদ্ধান্ত হয় উপদ্রুত এলাকায় অভিযানের মতো প্রস্তুতি নিয়ে ইডির সঙ্গে অভিযানে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারই প্রথম ঝলক দেখা গেল শুক্রবার।