আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা আন্দোলন এখন শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। তার প্রেক্ষিতে এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনܫে নামছে ছাত্র সমাজ। আজ, মঙ্গলবার তাদের নবান্ন অভিযান রয়েছে। ইতিমধ্যেই চারিদিকে পুলিশের নিরাপত্তার ঘেরাটোপ বসে গিয়েছে। যাতে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি না হয়। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য মোট ৬ হাজার পুলিশকর্মী শহরের রাস্তায় মোতায়েন থাকছে। তবে নবান্ন অভিযানের এই সাজসাজ রবের মধ্যে বাধ সেধেছে নাগাড়ে বৃষ্টি। আজ পুলিশের আশঙ্কা, মহিলা ও পড়ুয়াদের সামনে রেখে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ করে তোলার চেষ্টা হবে। তাই গোয়েন্দা–সহ পুলিশের সব বিভাগকে সতর্ক করা হয়েছে।
‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’–এর ব্যানারে আজ, মঙ্গলবার নবানᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ্ন অভিযানকে ‘রক্তক্ষয়ী’ করার চক্রান্তের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। অভিযানের নেপথ্যে বিজেপির ছক যে পুলিশকে প্ররোচিত করে গুলি চালাতে বাধ্য করা সেটাও জানতে পেরেছে তারা। এমনকী ‘বডি না🌃 পড়লে’ আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানো যাবে না—ঘাটালের তিন বিজেপি নেতার কথার ভাইরাল ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল) সামনে এসেছে। এই বৈঠকের পরে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা, এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার, হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী, হাওড়ার (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া ও কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
আরও পড়ুন: ‘মাঝরাত থেকে চার ছাত্রনেতা নিখোঁজ’, এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর
এই তিন বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘাটালের বিজেপি নেতা সৌমেন চট্টোপাধ্যায়, বাবলু গঙ্গোপাধ্যায় এবং চন্দ্রকোনার মণ্ডল বিজেপি সভাপতি বিপ্লব মালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এম বাইপাস সংলগ্ন একটি পাঁচতারা হোটেলে এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠকে রক্ত ঝরানোর ব্লু–প্রিন্ট তৈরি হয়েছে বলে পুলিশ𒐪ের দাবি। এই নবান্ন অভিযানের বিষয়ে সুপ্রতিম সরকারের অভিযোগ, ‘নবান্ন অভিযানে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে কিছু দুষ্কৃতী ব্যাপক অশান্তি, হিংসা ছড়াতে পারে। মহিলা ও ছাত্রছাত্রীদের 🦩সামনে রেখে এমন কিছু গোলমাল পাকানোর চেষ্টা হবে। যাতে পরিস্থিতি নিমেষে অশান্ত এবং হিংসাত্মক হয়ে উঠবে। যাতে পুলিশ বাধ্য হবে বলপ্রয়োগ করতে।’
আজ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তার আগেই হাওড়া ব্রিজে পুলিশের প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। এই আবহে রাজ্যে🏅র সব জায়গা থেকে আনা হয়েছে পুলিশ। নবান্নের ভিতরে– বাইরে সাদা পোশাকে টহল দিচ্ছে পুলিশ। গোয়েন্দা তথ্য জোগাড় করতে বাড়তি তৎপরতা শুরু হয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স, ইএফআর, স্ট্র্যাকো মিলিয়ে থাকছে ২১০০ জওয়ান। এসপি, ডিসিপি, কমান্ডান্ট পদমর্যাদার ১৩, এএসপি–এডিসিপি ১৫, ডিএসপি–এসিপি পদের ২২ এবং ইন্সপেক্টর পদের ২৬ জন আছে। সুপ্রতিম সরকারের বক্তব্য, ‘যে দুষ্কৃতীরা উস্কানি দিয়ে ভিডিয়ো ছড়াচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। নিশ্চয়ই আইনি পদক্ষেপ করা হবে। তবে কার বিরুদ্ধে কখন কী পদক্ষেপ হবে সেটা তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা যাবে না।’