মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পেন সফরে অন্তত ১৫০টি কোম্পানি বাংলায় বিনিয়োগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে অনেকের সঙ্গেই হয়েছে মউ চুক্তি। আবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বাংলায় বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির লুলু গোষ্ঠী। তবে আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থাও বিনিয়োগ করতে চায়। এবার প্রস্তাবিত বিনিয়োগ বাস্তবায়নের কাজে নেমে পড়ল নবান্ন। আগামী 🀅নভেম্বর মাসের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনকে (বিজিবিএস) পাখির চোখ করেই এই বিনিয়োগ টানার কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। আর তার পার্টনার কান্ট্রি হতে চলেছে স্পেন।
এখন বিরোধীরা তাকিয়ে আছে রাজ্যে আদৌ কোনও বিনিয়োগ আসে কিনা। যদি না আসে তাহলে রে রে করে সমালোচনা করতে নেমে পড়া যাবে। আর এই সুযোগটা দিতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা💎 বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নবান্নের অন্দরে শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, যুব কল্যাণ সহ–একাধিক দফতরের অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিল্প সচিব বন্দনা যাদব। রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে ইতিমধ্যে স্পেন এবং দুবাইয়ের সংস্থাগুলির সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেছেন মুখ্যসচিব বলে খবর।
এদিকে এই বৈঠকের পরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যসচিব। সেখানে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বলেন, ‘দুবাই সফর পর্বে লুলু গ্রুপের চেয়ারম্যান–সহ পদস্থ কর্তাদের বাণিজ্য সম্মেলনে আসার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে শীঘ্রই তাঁদের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় আসছেন। লুলু গোষ্ঠী রাজ্যে দুটি শপিং মল তৈরি করবে।’ স্পেন ও দুবাই ⭕থেকে মোট কত বিনিয়োগ আসবে? কত কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে? সেটার হিসেব এখনও হয়নি। তবে ক🌃াজ ফেলে রাখতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। তাই এখন থেকেই তেড়েফুঁড়ে নেমে পড়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব পর্যটন দিবসে এবার টয় ট্রেন সফর ไপড়ুয়াদের, ♋অভিনব উদ্যোগ শিলিগুড়িতে
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে চর্ম, হোসিয়ারি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বন্দর, বই প্রকাশ, রেলের স্লিপার–সহ নানা ক্ষেত্রে স্পেনের বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে আগ্রহী বাংলার নানা সংস্থা। তাই কর্মসংস্থান এবং ব্যাপক বিনিয়োগ আসতে চলেছে বলেই জানান মুখ্যসচিব। হোসিয়ারি শিল্পে স্পেন কাজ করে মূলত চিন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে। তবে তারা বাংলায় বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। আর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনটিতে স🐬্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র চালু করা যায় সেটা নিয়েও শিক্ষা দফতরকে পদকౠ্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।