কেন্দ্রীয় সরকার নানা প্রকল্পে রাজ্যের বিপুল পরিমাণ টাকা আটকে রেখেছে। তার ফলে রাজ্যের কোষাগারে টান আছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্ཧযের কোষাগারে ফেরত এল ১০৭২ কোটি টাকা। তার জন্য হিসেব কষেই এমন চমকপ্রদ ফল মিলেছে। অর্থবর্ষের শেষে এই টাকা ফিরে আসায় খুশির হাওয়া নবান্নে। বাংলা শস্য বিমা যোজনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্প। এতে গোটা প্রিমিয়ামটাই দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। চাষিকে নয়। এই রাজ্যে বিমার আওতায় রয়েছেন প্রায় ৭০ লকꩲ্ষ কৃষক। এই খাতেই হিসেব কষে প্রিমিয়ামের একটা বড় অংশের টাকা বিমা কোম্পানির ঘর থেকে ফিরিয়ে এনেছে রাজ্যের কৃষি দফতর।
এই টাকা ফিরে আসতেই নতুন করে উন্নয়নের ভাবনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। 🐠শস্য বিমার প্রকল্পে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অ্যাগ্রো ইন্সিওরেন্স কোম্পানি অফ ইন্ডিয়া। শর্ত অনুযায়ী, প্রিমিয়াম এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া অর্থের আনুপাতিক হিসেব কষে এই টাকা বিমা সংস্থার থেকে🐷 ফেরত পাওয়ার কথা। এই শর্তেই আজ, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ লক্ষ্মীবারে নবান্নের লক্ষ্মীলাভ হয়েছে। ৫৫০ কোটি টাকা ফেরত আসছে নবান্নে বিমা কোম্পানি থেকে।
এদিকে মোট টাকার পরিমাণ হচ্ছেꦑ অনেকটা। কারণ এই পথেই তিনবার প্রিমিয়ামের একটা অংশ পেল নবান্ন। প্রথম এসেছিল ৪৭৯ কোটি টাকা। দ্বিতীয়বার আসে ৪৩ কোটি টাকা। আর এবার অর্থাৎ তৃতীয়বার সবচেয়ে বেশি, ৫৫০ কোটি টাকা এল। এই তিনবার যে টাকা এল তা যোগ করলে দাঁড়ায় ১০৭২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন রাজ্যের কৃষি তথা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষকদের ঝুঁকি কমাতে বিমা যোজনা করা হয়েছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় চাষবাসের সমস্যা হয়। আবার সময়মতো বীজের ক্ষতি হয়। কখনও অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টিতে ফলন মার খꦫায়। কৃষকরা বিপদে যাতে না পড়েন, তার জন্যই রাজ্যের প্রায় সমস্ত কৃষিজমিকে বিমার আওতায় নিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চাষিরা দ্রুত ক্ষতিপূরণ পান।’
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নিরপত্তায় কি তও্রুটি ছিল? রাজীব🍌 কুমারের ভর্ৎসনা বর্ধমানের পুলিশ সুপারকে
অন্যদিকে বাংলার কৃষকরা এখন ক্ষতিপূরণ পেয়ে অনেক মজবুত হয়েছেন। গত খরিফ মরশুমে প্রায় ১৪ লক্ষ চাষি ৩০০ কোটি টাকার বে🔯শি ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। এটা তাঁদের কাছে একটা বড় ভরসার প্রকল্প। রবি মরশুমেও ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন কৃষকরা। তার মধ্যেই এখন হিসেব কষে টাকা ফেরত এসেছে। রাজ্যে এখন একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা, স্বাস্থ্য মিশনের টাকা আটকে রেখেছে নরেღন্দ্র মোদীর সরকার বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের প্রাপ্য ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সেসব তো মিলছে না। সামনে লোকসভা নির্বাচন। সেখানে এই টাকা মেলায় সুখবর এল।