গঙ্🍬গায় ডুবে যাওয়ার ঘটনা মাঝেমধ্য়েই শোনা যায়। ঠাকুর বিসর্জন করতে গিয়েও জলে ডুবে মৃত্য়ুর ঘটনা শোনা যায়। আবার স্নান করতে নেমে আর উঠে আসেননি এমন ঘটনাও হয়েছে। এদিকে এই ধরনের মৃত্যু কীভাবে রুখে দেওয়া যায় তা নিয়ে পুলিশ দীর্ঘদিন ধরেই চিন্তাভাবনা করছিল। তবে এবার কলকাতার অন্তত ৯টা ঘাটে একটা বিশেষ পদ্ধতিতে জলে ডোবা রুখতে জাল দেওয়ার ব্য়বস্থা করা হবে বলে খবর।
গঙ্গার ঘাট বরাবর উঁচু করে জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে ব্যাপারটা এমন নয়। এক্ষেত্রে গঙ্গার জলের নীচেই থাকবে বিশেষ জাল। এক্ষেত্রে যে ঘাটে লোকজন স্নান করতে নামেন সেখানে ঘাটের সিঁড়ির দুদিকে দুটি লোহার কাঠামো থাকবে। সেখান থেকে জ𝓡ল গঙ্গার জলের বেশ কিছুটা নীচে পর্যন্ত থাকবে। জালের সঙ্গে হাওয়া ভর্তি বেলুনও থাকবে। কেউ যদি ডুবে যান কোনওভাবে তিনি ওই হাওয়া ভর্তি বেলুনের সহায়তায় ভেসে থাকতে পারবেন কিছুক্ষণ।তার মধ্য়েই তাকে উদ্ধার করার ⭕ব্যবস্থা করা হবে। তবে শেষ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা কতটা কার্যকরী করা সম্ভব হবে সেটাও প্রশ্নের।
এদিকে এই গোটা ব্যবস্থাটা কার্যকরী করার জন্য় লালবাজারের তরফে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। ঘাটেতে একটি করে নৌকাও রাখা থাকবে। কোনওভাবে কেউ যদি বিপাকে পড়ে যান তবে তৎক্ষꦗণাৎ তাকে🌌 বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়বে প্রশিক্ষিত লোকজন।
এদিকে পরিসংখ্য়ান বলছে গত ১১ মাসে কলকাতা পুলিশের এলাকায় গঙ্গার ঘাটে ডুবে বিভিন্ন ঘাটে সব মিলিয়ে অন্তত ৬৬জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল জলে ডুবে যাওয়ার পর দেহ পাওয়া যায়নি এমন ঘটনা অজস্র রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ। আগামী বছরেই এই ব্যবস্থা কার্যকরী করার ব্যাপারে চেষ্🐈টা করা হবে। এব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। তবে বাস্তবে যদি এই ব্যবস্থা কার্যকরী হয় তবে আগামী দিনে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচতে পারে।