ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে বিরাট ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সব মিলিয়ে ৩৫০০ কোটি ক্ষতিপূরণ জমা দিল রাজ্য সরকার। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডাহা ফেল করেছে রাজ্য সরকার।আর তার জেরেই বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারকে। সেই নির্দেশই পালন করল সর🎀কার।
রাজ্য সরকার গ্রিন বেঞ্চে জানিয়েছে, রাজ্য নগরউন্নয়ন দফতর ও পুর দফতর দুটি অ্য়াকাউন্ট তৈরি করেছে। সেই꧑ অ্য়াকাউন্টের মাধ্যমে ৩৫০০ কোটি টা🦂কা জমা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে চলতি ব⛄ছরে গত ১ সেপ্টেম্বর এনজিটির তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা করতে হবে। কারণ কঠিন ও তরফ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বড়সর গলদ দেখা দিয়েছে।
রাজ্যের মুখ্য়সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী এনজিটির কাছে একটি তথ্য় জমা দিয়েছিলেন। সেই তথ্যতে উল্লেখ করা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১৩,৪৬৯ টন কঠিন বর্জ্য প্রতিদিন তৈরি হয়। তার মধ্যে প্রায় ৫☂৯৯৪ টন কঠিন বর্জ্য প্রতিদিন আলাদা করা হয়। এরপর ৩,০৪৭ টন বর্জ্য প্রতিদিন প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। আর সেই নিরিখে ১০,৪২২ টন কঠিন বর্জ্য প্রতিদিন কার্যত প্রক্রিয়াকরণ ছাড়াই পড়ে থাকে।
এরপরই এনজিটির বেঞ্চ জানি💝য়♓ে দেয়, এই প্রক্রিয়াকরণ ছাড়াই যে বর্জ্য পড়ে থাকে সেটাই দুষণের অন্য়তম কারণ। এর জেরেই বায়ু, জল ও ভূমি দুষণ হয়। এর জেরে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের উপর ভয়াবহ প্রভাব পড়ে।এরপরই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
সরকারের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, এনজিট𝓀ির নির্দেশ অনুসারে চিফ সেক্রেটারির নির্দেশ অনুসারে ওই অঙ্কের অর্থ ব্যবহার করা হবে।
অপরিশোধিত তরল বর্জ্য যাতে আটকানো𓃲 যায় সেব্যাপারে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে তার পরিকল্পনা ও প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়মের অন্য়থা হলে অতিরিক্🎃ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এনজিটির নির্দেশ অনুসারে তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে ব্যর্থ হলে রাজ্যকে ২,৯৮০ কোটি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মোটামুটিভাবে সব মিলিয়ে ৩০০০ কোটি ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছি💝ল এই প্রক্রিয়ায় ফের ব্যর্থ হলে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এবার 🍷সব মিলিয়ে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক হিসাবে ৩৫০০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্✃দেশ দেওয়া হল।