তিনি জেলবন্দি থেকে গৃহবন্দি থাকার আবেদন করেছিলেন। কোভিড পরিস্থিতিতে এই আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। হ্যাঁ, তিনি ছত্রধর মাহাতো। একদা মাওবাদী নেতা থেকে অধুনা রাজনৈতিক নেতা। জঙ্গলমহলে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক। তিনি গৃহবন্দি থাকার আবেদন করেছিলেন। যা খ🉐ারিজ হয়ে যাওয়ায় জেলেই থাক🦹তে হচ্ছে তাঁকে। আর সেই নির্দেশ জানিয়ে দিল এনআইএ আদালত। রাজধানী এক্সপ্রেস ‘হাইজ্যাক’ মামলায় গত ২৮ মার্চ ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করে এনআইএ। সেই মামলার শুনানিতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ছত্রধর মাহাতো তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের কাছে গৃহবন্দি থাকার আর্জি জানিয়েছিলেন। রাজ্যের সার্বিক করোনা 🅷পরিস্থিতি এবং তাঁর শারীরিক অসুস্থতাকে সামনে রেখেই তিনি হাউজ অ্যারেস্ট থাকার আবেদন করেন তিনি। কিন্তু আদালত সেই আবেদনে সাড়া দিল না। একুশের বিধাওনসভা নির্বাচনে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের পরদিনই গ্রামের বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ। ছত্রধর এরপর থেকে এনআইএ হেফাজতেই।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর। তখন ছত্রধর মাহাতো জেলে। ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস আটকানোর অভিযোগে ছত্রধরের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলারই পুনর্তদন্ত চেয়ে আদালতে যায় এনআইএ। আদালত তাদের তা করার নির্দেশ দেয়। ২০০৯ সালে লালগড়ের সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনে ছত্রধর–সহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় মামলা হয়। ২০১০ সালে তাদ🃏ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ছত্রধর।