একুশে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবসের মঞ্চ এবার হাইভোল্টেজ হতে চলেছে। যা অ♚নেকেই আঁচ করতে পারছেন না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যে বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা হতে পারেন এটা যেমন কেউ আঁচ করত𒀰ে পারেননি ঠিক তেমনই একুশের মঞ্চে বিরোধী জোট দেখা যেতে পারে তাও কেউ আঁচ করতে পারেননি। কিন্তু বাস্তবে সেটাই ঘটতে চলেছে। সব ঠিক থাকলে এই প্রথম একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে অবিজেপি নেতারা হাজির হবেন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটতে চলেছে? সূত্রের খবর, দেশের বিভিন্ন অবিজেপি দলের নেতা–নেত্রীকে সেদিন হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সেই মর্মে চিঠি লেখাও হয়ে গিয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার ১ জুলাই সেই চিঠি নেতা–নেত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। তার ব্যবস্থাও 🃏করে ফেলা হয়েছে। এই গোটা প্রক্রিয়াটি নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেস সূতဣ্রে খবর, বিজেপি সারা দেশে বিভাজনের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। সেটা অগ্নিপথ থেকে শুরু করে নূপুর শর্মার সাম্প্রতিক মন্তব্য। সেখানে দেশকে বাঁচাতে বিরোধীদের একছাতার তলায় আসা অত্যন্ত প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনಞের মধ্যে দিয়ে তা অনেকটা সম্ভব হয়েছে। এবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে বিরোধী জোটকে এককাট্টা করে কেন্দ্রীജয় সরকারকে বার্তা দেওয়া হবে। তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
কারা আসছেন একুশের মঞ্চে? সূত্রের খবর, চিঠি সবাইকে পাঠানো হচ্ছে। তবে সবাই এখানে আসতে পারবেন না। আবার অনেকেই আসবেন। শিবসেনার পক্ষ থেকে কেউ আসতে পারেন। কারণ তাঁদের সরকার ছলে–বলে–কৌশলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যে মোদী–শাহের চোখ রয়েছে। তাঁরা আসবেন। কংগ্রেস থেকে কে আসবেন তা এখনও জানা যায়নি। কুমারস্বামীর আসার কথা রয়েছে। সিপিআইএম থেকে কেউ থাকছে না। তবে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রতিনিধি পাঠাতে পারে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল প্রতিনিধি পাঠাতে পারে। অন্যান্য অবিজেপি দলের নেতারা এখানে হাজির হবেন। তাই জন্যই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, ‘২১ জুলাই বিজেপির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার দিন।’