সামনে পুজো। তাই এখন শপিং করতে মানুষ বেরিয়ে পড়েছেন। আবার করোনাভাইরাস খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় খুলেছে অফিস–কাছারি। সব মিলিয়ে একটা ভাল ভিড় হচ্ছে মেট্রো রেলে। এবার পুরনো পথেই নতুন করে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। ঠিক হয়েছে, মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন থেকে দমদম অভিমুখে মেট্রো ছাড়বে। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী গড়িয়া যাওয়া যাবে না? জানা গিয়েছে, কোনও রুট বদল হচ্ছে না। পাঁচ বছর পিছনে ফিরে যেতে চাইছে মেট্রো।এই পিছনে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারটি কেমন? মেট্রো রেল সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে দেখা গিয়েছিল ব্যস্ত সময়ে মেট্রোয় ভিড় কমাতে কিছুদিনের জন্য টালিগঞ্জ থেকে ট্রেন ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অর্থাৎ ট্রেন ছাড়বে মহানায়ক উত্তমকুমার থেকে। তখন তৃতীয় প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা নিয়ে জটিলতা দেখা গিয়েছিল। আবার যাত্রীদের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছিল না। তাই সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। এবার সেই আগের পরিকল্পনায় ফিরতে চায় মেট্রো রেল।মেট্রো সূত্রের খবর, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর থেকে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ যাত্রী দমদম থেকে মহানায়ক উত্তমকুমার পর্যন্ত যাতায়াত করছেন। এই সংখ্যাটাই সবচেয়ে বেশি। তার মানে এই নয় যে, আর কোথাও যাত্রী যাচ্ছেন না। কিন্তু গড় যাতায়াতের নিরিখে ব্যস্ত সময়ে টালিগঞ্জ–দমদমের মধ্যে ট্রেন বাড়ানোর কথা ভেবেছেন কর্তৃপক্ষ। তাই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ৯টি ট্রেন দমদম থেকে মহানায়ক উত্তমকুমারের মধ্যে যাতায়াত করবে। আবার বিকেলে ৫টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে আরও সাতটি ট্রেন একই পথে চলবে।আর টালিগঞ্জে এসে পৌঁছনো ট্রেনগুলি ফেরার পথে ছাড়বে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে। তখন কবি সুভাষ থেকে ১০ মিনিট অন্তর ট্রেন ছাড়বে। টালিগঞ্জ থেকে ট্রেন ঘোরানো আর আবার ছেড়ে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় লাগবে। তবে তা হিসেব করেই এই ব্যবধান রাখা হয়েছে। কিন্তু তাতে কী ভিড় কমবে? সেটাই একবার সরেজমিনে দেখে নিতে চাইছেন মেট্রো কর্তারা।