রবিবার সন্ধ্যায় অন্ডালের আকাশে স্পাꦬইসজেটের বিমানে ঝাঁকুনি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এই ঘটনায় বিমানের অন্তত ৪০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। বেশ কয়েকজনের চোট বেশ গুরুতর। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোনওಌ ভাবেই কি এড়ানো যেত না এই ঘটনা?
রবিবার🍸 সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ অন্ডাল কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে অবতরণের কিছুক্ষণ আগে মাঝ আকাশে প্রবল ঝাঁকুনির মুখে পড়ে স্পাইসজেটের SJ945 বিমানটি। মুম্বই থেকে অন্ডালগামী বো🐭য়িং 737 বিমানটি হঠাৎই জোরে লাফাতে শুরু করে। যার জেরে বিমানের ভিতরে ছাদের অংশ খসে পড়ে। সিট বেল্ট ছিঁড়ে যায় যাত্রীর। যদিও এর পর নিরাপদেই অবতরণ করে বিমানটি। স্পাইসজেটের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় তারা দুঃখিত। যাত্রীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে তারা।
ঘটনার প্রশ্ন উঠছে, কোনও ভাবে কি এড়ানো যেত না এই পরিস্থিতি। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রবিবার সন্ধ্যায় যখন এই ঘটনাꦿ ঘটেছে তখন ধানবাদের কাছে ছোটনাগপুরের মালভূমিতে তৈরি হচ্ছিল বজ্রগর্ভ মেঘ। যার জেরে বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে প্রায় ২৫,০০০ ফুট পর্যন্ত বাতাসের চাপে ব্যাপক তারতম্য হচ্🍸ছিল। সম্ভবত সেই ঝঞ্ঝার মধ্যে পড়ে বিমানটি। যার জেরে এই ঘটনা।
বিমান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানের সামনে যে রেডার থাকে তাতে এই ঝঞ্ঝা স্পষ্ট দেখতে পাওয়ার কথা। তার পরও কেন পাইলট বিমানের পথ পরিবর্তন করলেন না তা তদন্ত না-করে বোঝা সম্꧟ভব নয়। তবে এই ধরণের ঝঞ্ঝায় বিমান মাটিতে আছড়ে পড়ার ঘটনা খুবই বিরল বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ওদিকে অসামরিক বিমান চলাচল বিশꦛেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই ধরণের সিদ্ধান্তের পিছনে কাজ করে বিমানসংস্থার তরফে পাইলটদের ওপর দেওয়া চাপ। প্রায় সব বিমানসংস্থা নির্দিষ্ট সময়ে বা তার আগে বিমান অবতরণ করানোর জন্য পাইলটদের ওপর চাপ তৈরি করে। বাণিজ্যিক ক্ষতি এড়ানোর জন্য পাইলটদেরও সেই নির্দেশ মেনে চলতে হয়। যা অনেক ক্ষেত্রেই অসামরিক বিমান চলাচল নিয়ামক বিধির পরিপন্থ💧ী হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে কী ঘটেছে তার বিস্তারিত তদন্ত দাবি করেছেন আহত যাত্রী ও তাদের পরিজনরা।