কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর চিঠি দেওয়াকে কেন্দ্র করে এখন অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। দলের আদি ও নব্য দ্বন্দ্ব ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে। সায়ন্তনের অভিযোগ ছিল, দলবদলুরা বিজেপি চালাচ্ছে। পুরোনোদের গুরুত্ব দেওয়া♔ হচ্ছে না। তাই যাতে দলে পুরোনোদের গুরুত্ব ফিরে আসে তার জন্য তিনি ২০১৯-এর মডেল ফিরিয়ে আনার দাবি🔯 জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে। এবার একে একে সায়ন্তনকে সমর্থন জানালেন দলের আদি নেতা কর্মীরা। তার চিঠিকে সমর্থন করে শনিবার জেপি নাড্ডাকে মেইল করেছে বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ। যার ফলে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে এখন নাজেহাল বিজেপি।
সবাইকে সমান গুরুত্ব দ൩েওয়া হচ্ছে, সায়ন্তনের চিঠি প্রসঙ্গে বললেন সু❀কান্ত মজুমদার
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরাও সায়ন্তনকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যেগুলো বলেছি এখন অন্য কেউ বলছে বেশ ভালোই লাগছে।’ বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সায়ন্তনের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘সায়ন্তন দা একজন অভিজ্ঞ ꩲনেতা। তিনি সবসময় পার্টির ভালো চেয়েছেন। ভালো কাজ করেছেন। নিশ্চয়ই পার্টির ভালোর জন্যই পরামর্শ দিয়েছেন।’ উল্লেখ দিলীপ ঘোষ যখন দলের রাজ্য সভাপতি ছিলেন সেই সময় সায়ন্তন রাজুর জুটি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল কর্মীদের কাছে।
বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা দলের প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠকও সায়ন্তনকে সমর্থন করে বলেন, ‘পুরনোদের বাদ দিয়ে বিজেপি চালানো যেতে পারে না। ২০১৯-এ দল যখন সফল হয়েছিল তার মূল কান্ডারী ছিলেন পুরনো নেতা কর্মীরা। উনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বক্তব্য জানিয়েছেন। সেটা তারℱ স্বাধীনতা আছে।’ অন্যদিকে বীরভূম বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দুধ কুমার মণ্ডল বলেন, সায়ඣন্তন বাবু নিশ্চয়ই দলের ভালো চেয়েছেন। দল এ বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করবে। বিজেপি নেতা মনস্পতি দেব বলেন, তৃণমূল থেকে আসা বিভিন্ন নেতা বিজেপির বিভিন্ন পদে বসে আছেন। অন্যদিকে, বিজেপি সূত্রের খবর, দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে বিক্ষুব্ধদের তালিকা তৈরি করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যদিও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেনি বলেই জানান সায়ন্তন।