পুরসভার চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। অয়ন শীলের হাত ধরেই এই দুর্নীতি হয়েছে বলে ইডির দাবি। এই পরিস্থিতি আসার একবছর আগে চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত যে কোনও ফাইল সচিবালয়ে পাঠাতে হবে বলে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিবালয় থেকে ডিএলবি’র (ডিরেক্টরেট অব লোকাল বডিজ) কাছে নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছিল। আর এখন যা ঘটনা সামনে এসেছে তাতে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর তদন্ত শ𒁃ুরু করেছে।
রাজ্যের প্রায় ৬০টি পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর তা নিয়ে এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। এখন ডিএলবি থেকে পুরনো নিয়োগের ফাইল তলব করা হয়েছে সচিবালয়, নগরায়ণ ভবনে। আর সব ফাইল খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে অফিসারদের বলে সূত্রের খবর। ২০১৬ সালে পুরসভায় নিয়োগের বরাত পেয়েছিল অয়নের সংস্থা। আর তখনই এ🏅কাধিক পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে দেড় বছর আগেই মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল, পুরসভাগুলিতে গ্রুপ–ডি ছাড়া সব ধরনের নিয়োগের জন্য কমিশনের নির্দিষ্ট পরীক্ষাতেই বসতে হবে।
এদিকে ডিএলবি–কে একসময় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, চাকরিতে নিয়োগ–সহ যে কোনও ফাইল সচিবালয়ে পাঠাতে হবে। তবে সেটা ঘটেছিল কি💜না জানা যায়নি। এখন এমন দুর্নীতির প্রসঙ্গ সামনে আসায় তদন্তে নেমেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এই সব দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তদন্ত অবশ্য ইডি করছে। কারণ কুন্তল ঘোষ এবং💯 শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ, ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের সংস্থা একাধিক পুরসভার নিয়োগে জড়িয়ে। আর সেই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে ইডি।
ঠিক কী প্রতিক্রিয়া মেয়রের? অন্যদিকে এবার থেক🌺ে পুরসভায় জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে গ্রুপ–ডি পদে নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিভাগকে বলে দিয়েছি, কী কী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সব দেখে নিতে। কী কাগজ আছে, তাও ভাল করে খতিয়ে দেখতে। তবে এখনও পর্যন্ত আদালত কোনও নির্দেশ না দেওয়ায় আগ বাড়িয়ে কিছু করতে যাচ্ছি না। কোনও দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা পুরসভাগুলিকে দেখতে বলা হয়েছে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT 🎀App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup