নবান্ন অভিযানে সংগঠকের দায়িত্বে থাকা ৪ ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অবশেষে স্বীকা♑র করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে তাঁদের নিখোঁজ ৪ ছাত্রের নাম প্রকাশ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পর তাঁদের সন্ধান চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা।𒅌 সেই মামলা দায়ের হতেই মুখ ফুটল পুলিশের। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তারা জানিয়েছে, খুনের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে ৪ ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - কে খুন করেছে আরজি করের নির্যা⛎তিতাকে? পলিগ্রাফ টেস্টে বিস্ফোরক দাবি সঞ্🦩জয় রায়ের
পড়তে থাকুন - কালীমূর্তি ভাঙচ🐻ুরে অভিযুক্তদের ১২টি বাড়ি জ্বালিয়ে দিল𓆉 বিক্ষুদ্ধ জনতা
মঙ্🍎গলবার সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে লেখা হয়েছে -
নবান্ন অভিযানে 'লাশ ফেলে দেওয়ার ছক', গ্রেফতার ৪
গত রাত থেকে চারজন পড়ুয়া নিখোঁজ, এই মর্মে এক রাজনৈতিক নেতা টুইট করে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন।সত্যিটা হল, কেউ নিখোঁজ নন।ওই চারজন আজকের নবান্ন অভিযানে ব্যাপক হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করছিলেন বলে আমাদের কাছে নির্দিষ্ট এবং অকাট্য তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। খুন এবং খুনের চেষ্টার চক্রান্ত করছিলেন ওঁরা। শান্তিরক্ষার স্বার্থে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে ওঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং ওঁদের পরিবারের সদস্যদের সেটা জানিয়েও দেওযা হয়েছে।
এর আগে সকাল ৮টা ০৮ মিন🦂িটে শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘শুভ্রজিৎ ঘোষ, পুলকেশ পণ্ডিত, গৌতম সেনাপতি ও প্রীতম সরকার নামে ৪ জন ছাত্র নেতা হাওড়া স্টেশনে স্বেচ্ছাসেবকদের খাবার বিলি করছিলেন। হঠাৎ তাঁরা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন।🧔 তাদের কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না, তারা ফোনও ধরছেন না। আমাদের অনুমান তাদের মমতা পুলিশ আটক বা গ্রেফতার করেছে।’
আরও পড়ুন - অসমে প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দিল ধর্ষক, মালদায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযো💯গ
গ্রেফতারির কথা স্বীকার করে কলকাতা পুলিশের পোস্টে♑র জবাবে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘ছাত্র নেতাদের বাবা মা আদালতে গিয়েছেন। সেখানেই দেখা হবে।’ বুধবারই পরিবারের দায়ের করা আবেদনের শুনানি হতে পারে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে।
বলে রাখি, ডার্বি ম্যাচ বাত🦩িলের দিন প্রไতিবাদের আগেও একই ভাবে কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার একাধিক যুবককে থানায় ডেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সারা রাত তাদের পরিবারকে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। ছেলের খোঁজ না পেয়ে পরদিন সকালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হাওড়ার বাসিন্দা এক যুবকের বাবা। এর পর পুলিশের তরফে তাঁকে আটক করার কথা স্বীকার করা হয়। আদালতের নির্দেশ অনুসারে কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করলে পরিবারকে তা জানাতে বাধ্য তারা। এক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে বার বার সেই নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠছে।