বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণ। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল সেই ছবি। এরপর বাংলার হোটেল থেকে মিলল সন্দেহভাজন দুই আইএসআইএস জঙ্গিকে। দ🐟ক্ষিণ ভারত থেকে বাংলায় ডেরা নিয়েছিল ওই দুই জঙ্গি। এমনকী ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে তারা হোটেলে ঢুকেছিল। কলকাতার হোটেলেও তারা ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। ধৃতদের নাম আব্দুল মাতিন ত্বহা ও মুসাভির হুসেন সাজিব। এই সাজিবই ক্যাফেতে আইইডি বসিয়ে𒈔ছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে এনআইএর পক্ষ থেকে আগেই এই জঙ্গিদের ওয়ান্টেড হিসাবে ঘোষণা করা 𝕴হয়েছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল ওয়ান্টেড জঙ্গির নাম মুসাভির হুসেন শাজিব। ওরফে শাজেব, মহম্মদ জুনেদ হুসেন, মহম্মদ জুনেদ সৈয়দ। বয়স ৩০ বছর। গায়ের রঙ ফর্সা। জিম করা চেহারা। পরনে ছিল টি শার্ট আর জিন্স। তারা ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে বলে দাবি করা হয়েছিল। তাদের পছন্দের জামাকাপড় হল, জিনস, টি শার্ট, কালো স্মার্ট ওয়াচ, মাস্ক, উইগ ও ভুয়ো দাড়ি ব্যবহার করে বলেও বলা হয়েছিল। ছেলেদের হস্টেল, বয়েজ হস্টেল, পিজি,কম দামের হোটেল বা লজে থাকতে পারে। তার খোঁজ দিতে পারলে ১০,০০,০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
আবার ত্বহাকে ঘিরেও নোটিশ জারি করেছিল এনআইএ। সে ভিগনেশ, সুমিত সহ নানা ধরনের হিন্দু নাম ব্যবহার করত। তারও বয়স ৩০ বছর। সে টুপি পরে। টি শার্ট, জিন্স, হুডিজ, ক্যাপ পরে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হিন্দু👍 পরিচিতি ব্যবহার করে। ভিগ্নেশ নামে ভুয়ো আধার কার্ড রয়েছে তার। তার খবর দিতে পারলেও ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল এনআইএ।
এদিকে রাজ্য পুলিশ যে ওই জঙ্গিদের ধরে দিয়েছে তা জনসভা থেকে ফলাও করে বলেছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ২৮ দিন ধরে বাংলায় ঘুরেছে ওই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। কিন্তু ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি পুলিশ। এখানেই শেষ নয়, গত ১৩ মার্চ কলকাতার লেনিন সরণির একটি হোটেলে উঠেছিল ওই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। হোটেলের রেজিস্টারেও তারা নাম লিখেছিল। কিন্তু দু নম্বর নামটির ক্ষেত🌜্রে দেখা গিয়েছে তারা একটি বিশেষ নাম লিখেও কেটে দিয়েছে।
সূত্রের খবর, আসলে ওই নামটিতেও পরিচিত ছিল ওই জঙ্গি। সেকারণে তারা ওই নামটি লিখেছিল। কিন্তু সেই নামটি তারা কেটে দেয়। এরপর অন্য নাম লেখে। রেজিস্টারে তারা টুরিস্ট পরিচয় দিয়েছিল। জꦏানিয়েছিল তারা দার্জিলিং থেকে আসছে। এরপর তারা চেন্নাই ফিরে যাবে।