কলকাতা পুরসভা ডেঙ্গি দমনে ভেক্টর কন্ট্রোলের জন্য বরাদ্দ করেছে প্রায় ৭০ কোটি টাকা। সামগ্রিকভাবে এই বরাদ্দ কোনও ছোট পুরসভার বরাদ্দ🐬ের সমান। তা সত্ত্বেও কলকাতায় ডেঙ্গি কেন বাড়ছেౠ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, এই সব লোকদেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়। বিরোধীদের অভিযোগ, এইসব মিথ্যাচার, ডেঙ্গি দমনে এত উপকরণ থাকা সত্ত্বেও কেন কলকাতায় ডেঙ্গি মহামারী আকার নেয়?
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে, আজ বিজ্ঞপ🧸্তি জারি
প্রসঙ্গত, কলকাতা ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগের জন্য ৩২ টি গাড়ি রয়েছে। ৪ জন ভেক্টর কন্ট্রোল অফিসার রয়েছেন। তাছাড়া প্ౠরতিটি বরোতে ‘র্যাপিড অ্যাকশন টিম’ রয়েছে। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ দাবি করেছেন, কলকাতা পুরসভায় ভেক্টর কন্ট্রোলে যে উপকরণ রয়েছে তা অন্য কোনও পুরসভায় নেই। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে উত্তর ২৪ পরগনার পরেই স্থান হল কলকাতার। যার মধ্যে ১০ নম্বর বরোয় সবচেয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে ৫ জন ১০ নম্বর বরোর বাসিন্দা।
বিরোধীদের অভিযোগ, প্রতিবছর ডেঙ্গি মহামারী আকার নিচ্ছে কলকাতায় অথচ প্রতিটি বরো এলাকায় যে ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগ রয়েছে তারা আলাদা ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাদের মতে, যে বরো এলাকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি হচ্ছে সেই বরো এলাকার জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পুরসভায় ছুটির দিনে ৪১ টি ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য কেন্দ্র খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই ওয়ার্ডগুলিতে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আলাদাভাবে নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, ওই ওয়ার্ডের পরিত্যক্ত বাড়িগুলিতে আবর্জনা জমে থাকে। সেগুলি পরিষ্কার করা হয় না। ১০ এবং ১২ নম্বর বরো এলাকার জন্য আলাদাভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক। বি🎃রোধীদের মতে, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগকে আরও সক্রিয় হতে হবে।
তবে পুরসভার এক আধিকা𝔉রিক জানিয়েছেন, ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগ সারা বছর ধরে কাজ চালিয়ে যায়। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে সবার🐎 প্রথমে মানুষকে সচেতন হতে হবে। পুরসভা নিয়মিত সচেতনতার জন্য প্রচার চালাচ্ছে। তাছাড়া ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগের বিশেষ নজর রয়েছে। যদিও, মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বিরোধীদের অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। উলটে বিরোধীদের কাছে তাঁর আবেদন, ভোট প্রচারের মতো বিরোধীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গি নিয়ে প্রচার চালাক।