দিনে দুপুরে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এক চায়ের দোকানিকে শাসানি দিচ্ছেন একটি কারখানার মালিক। গত বৃহস্পতিবার একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে তাতে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি পর্ণশ্রী থানা এলাকার এয়ারপোর্ট রোডের। যদিও কারখানার মালিক দেবাশিস চক্রবর্তীর দাবি তিনি আত্মরক্ষার্থে নিজের লাইসেন্সধারী ಌআগ্নেয়াস্ত্র বের করেছিলেন।
দেবাশিস চক্রবর্তীর অভিযোগ, বিট্টু দাস নামে ওই দোকানির সঙ্গে তাদের গোলমাল চলছিল গত পাঁচ মাস ধরে। সেখানে দেবাশিসের একটি প্লাস্টিকের কারখানা রয়েছে। আর তার সামনে ফুটপাতে দোকান বসিয়েছেন বিট্টু দাস। ওই দোকানে অসামাজিক কাজকর্ম চলে এমনকি মাঝেমধ্যেই কারখানা লক্ষ্য করে জ্বলন্ত সিগারেটের টুকরো ছুঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ দেবাশিসের। সেই কারণেই তিনি বিট্টুকে দোকান সরিয়ে নিতে বলেছিলেন। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এনিয়ে দুপক্ষই স্থানীয় কাউন্সিলর রত্ন চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। স্থানীয় কাউন্সিলরের মধ্যস্থতায় অবশেষে সমস্যার সমাধান হয়। দোকানটি সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন কাউন্সিলর। সেইমতো বৃহস্পতিবার দোকান সরিয়ে পাশের আরেকটা কারখানার কাছে। বিট্টুর পাল্টা অভিযোগ, দোকান সরিয়ে নেওয়ার পরেও দেবাশিস তার কারখানার ছেলেদের নিয়ে তাকে শাসানি দেয়। বন্দুক উঁচিয়ে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। বিট্টু জানান, লকডাউনের সময় তিনি কাজ হারিয়েছিলেন। সেই কারণে কারখানার সামনে চায়ের দোকান করেছেন। কিন্তু সেই দোকান করার পর থেকেই তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, দেবাশিসের পাল্টা অভিযোগ, কারখানার গেটের সামনে কেউ বালি ফেলে গিয়েছিল। ফলে কারখানার গেট খোলা যাচ্ছিল না। এই নিয়ে বিট্টুর সঙ্গে বচসা বাঁধলে তিনি শাবল দিয়ে মারধরের চেষ্টা করেন। সেই কারণে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিযꦇ়ে হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান 💝কারখানার মালিক।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। দু পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি কারখানার মালিকের আগ্নেয়াস্ত্রটি লাইসেন্স প্🔯রাপ্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।