আসন্ন পুরভোটে ‘বিজেপির জয়’ হবে দাবি করে মুকুল রায় নিজের বিধায়ক পদ বাঁচানের খেল খেলছেন নাকি তিনি সত্যি ভুল বসত কথাটা বলেছেন, তা বোঝা মুশকিল। তবে মুকুলের এহেন মন্তব্যে যে দলের কোনও সায় নেই, তা বোঝাতে গিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুকুলকে ‘ভারসাম্যহীন’ আখ্যা দেন। আর এতেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে পিএসি চেয়ারম্যান কীভাবে একজন ‘ভারসাম্যহীন’ ব্যক্তি হতে পারেন?বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জেতার পরে ছেলেকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। তবে দীর্ঘদিনের এই পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদকে তারপর থেকেই আইনি জটিলতায় জড়িয়ে চাপে থাকতে হয়েছে। সরকারপক্ষে যোগ দেওয়ার জেরে মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্টে। বিতর্কিত ভাবে এই বর্ষীয়ান নেতা আবার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিরও চেয়ারম্যান। সাধারণত, এই পদটি বিরোধী দলের বিধায়ককে দেওয়ার রীতি রয়েছে। তবে এতকিছুর মাঝেও মুকুল রায় নিজেকে ‘অসুস্থ’ দাবি করে আদালতের শুনানি এড়িয়েছেন। মাঝে মাঝে অবশ্য জনসমক্ষে এসেছেন। যেমন শুক্রবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল বোলপুরে। এবং সেখানেই বিতর্কিত মন্তব্য করে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন মুকুল।মুকুল রায়ের আলটপকা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পার্থ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘উনি শারীরিকভাবে সুস্থ নন। ভারসাম্যহীনভাবে কথা বলছেন। ওনার সুস্থতার কামনা করি। দল তাঁর কথায় সহমত পোষণ করে না। উনি দলের কোনও পদেও নেই। ওনার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে, উনি যদি পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে না থাকতে চান, তাহলে দল বিচার করবে।’ উল্লেখ্য, শুক্রবার বোলপুরে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায় বলেন, ‘এই পুরনির্বাচনে সারা পশ্চিমবাংলায় বিপুলভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়ী হবে।’ সেই সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মুকুল রায়ের এমন মন্তব্যের পর পিছন থেকে একজন তাঁর ‘ভুল’ ধরিয়ে দিলে মুকুল রায় বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল।’ এর আগেও তৃণমূলে আসার পরে গত ৬ অগস্ট তিনি কৃষ্ণনগরে গিয়ে বার বার বলেছিলেন বিজেপির জয় ও তৃণমূলের পরাজয়ের কথা।