হস্টেল সংস্𓆉কারের দাবি-দাওয়ার মধ্যেই হস্টেলের চাঙড় ভেঙে আহত হলেন ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আরজি কর হাসপাতালের হস্টেলের মধ্যে। হস্টেলের ঘরেই হুড়মুড়িয়ে চাঙড় ভেঙে পড়ে। সেই সময় হস্টেল রুমের নিজের শয্যায় বসে ছিলেন ওই ছাত্র। তখনই চাঙর ভেঙে পড়ায় মাথায় আঘাত পান ওই পড়ুয়া। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে।
ঘটনা ঘিরে ডাক্তারি পড়ুয়া এবং ইন্টার্নদের ☂বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়িয়েছে আরজি কর হাসপাতালে। হস্টেল সংক্রান্ত বেশ কিছু দাবি নিয়ে হাসপাতালের অধ্যক্ষের🦹 সঙ্গে দেখা করতে যান পড়ুয়া এবং হাসপাতালের ইন্টার্নদের একাংশ। পড়ুয়াদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। হাসপাতালেরই একদল পড়ুয়া এবং জুনিয়র ডাক্তার তাঁদের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেন বলেও অভিযোগ বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের।
প্রসঙ্গত, গত ১ মাসের বেশি সময় ধরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল ও হাউস স্টা🌺ফশিপ কাউন্সেলিং সংক্রান্ত একাধিক দাবিতে বেশ কয়েক বার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়ারা। কিন্তু এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে তাঁদের দাবি।
হস্টেলের সার্বিক উন্নয়ন, হস্টেল উন্নয়ন কমিটি, স্টুডেন্ট কাউন্সিল, ন্যাশনল মেডিকেল কাউন্সিলের নির্দেশিকা অনুযায়ী ৬০ শতাংশ পড়ুয়ার হস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করা-সহ একাধিক দাবিতে বেশ কয়েকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান পড়ুয়ারা। শুক্রবারও একই দাবিতে অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গেলে হাসপাতালের একদল পড়ুয়া এবং জুনিয়র ডাক্তার তাঁদের বাধা দেন বলে বিক্ষোভকারীদের অভিযো𓄧গ। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ তাঁর কিছু ঘনিষ্ঠ পড়ুয়াদদের নিয়ে নিজের মতো করে নিয়ম তৈরি করছেন, সে কারণে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা তা মেনে নিতে পারছেন না।
হাসপাতালের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোর্ডিনেটর রোহন কুন্ডু জানান, বিক্ষ💝োভকারীদের একাধিক দাবি মেনে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপরেও বিক্ষোভ চালাচ্ছেন একাংশ পড়ুয়া। সে কারণে হাসপাতালের কাজ ছাড়াও পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে। যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পর হস্টেল উন্নয়ন কমিটি তৈরি করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাতে হস্টেলের কোনও প্রতিনিধি নেই। তার জন্যে হস্টেল উন্নয়ন সংক্রান্ত ক♏োনও পদক্ষেপও নেয়নি কর্তৃপক্ষ।