করোনার প্রকোপ কমতেই রাজ্যে থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এখনও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এꦫরই মধ্যে কলকাতার হাসপাতালে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত বিরল রোগে মৃত্যু হল এক রোগীর। এই রোগের নাম হল নেক্রোটাইজিং ফ্যাসিয়াটিস। মৃত রোগী উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা। শনিবার আরজিকর হাসপা♓তালে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
৭ꦆ জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, বাড়ি বাড়🎃ি গিয়ে নজরদারির নির্দেশ
কী ঘটেছিল?
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৪৪-এর ওই ব্যাক্তি কিছুদিন আগে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে পড়ে যান। যার ফলে তার পায়ে চোট লাগে। তাকে প্রথমে হাবড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপরেও তার পায়ের ক্ষত বাড়তে থাকে। গত ২৩ অক্টোবর তাকে ভর্তি করা হয় আরজিকর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা নানান পরীক্ষা করে জানতে পারেন যে তিনি নেক্রোটাইজিং ফ্যাসিয়াটিস রোগে আক্রান্ত। তবে রোগ নির্ণয় করতে দেরি হওয়ꦫায় ওই ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
কী এই নেক্রোটাইজিং ফ্যাসিয়াটিস রোগ?
চিকিৎসকরা বলছেন, এটি হলোল ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। তবে ব্যাকটেরিয়াগুলি মাংস খেয়ে পচন ধরিয়ে দেয়। যার ফলে নির্দিষ্ট সময়ে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব না হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র একটি মাত্র ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এই রোগ হয় না। যখন অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া সংক্রবদ্ধভাবে আক্রমণ করে তখন এই রোগ শুরু🦋 হয়। নির্দিষ্ট সময়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে সেই অংশ কেটে বাদ দিয়ে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন আরজিকর হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক হিমাংশু রায়। চিকিৎসকদের মতে, এই ব্যাকটেরিয়া সাধারণত পেশী এবং চামড়ার মাঝখানে আক্রমণ করে। তার ফলের চামড়ার তলায় যে টিস্যু থাকে সেগুলিতে পচন হতে শুরু করে। এক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত রোꦆগীর মৃত্যু ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার।