শিক্ষকরা অবসর নিলেও পাচ্ছেন না পেনশন। গত কয়েকদিন ধরে এই অভিযোগে সরগরম ছিল রাজ্য। এই আবহে শনিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানালেন যে সরকার নতুন পেনশন নীতি চালু করবেন শিক্ষকদের জন্য। এদিকে সমস্যায় থাকা শিক্ষকদের বিষয়ে অর্থ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে আবেদনের ফাইলের ‘প্রোসেসিং’ চলছে। জানা গিয়েছে, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে আটকে রয়েছে পাঁচ শতাংশ পেনশনের কাগজপত্র। উপযুক্ত প্রামাণ্য তথ্য যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়নি বলেই নথি আটকে। এদিকে বাকি পেনশনের কাগজপত্র ডিপার্টমেন্ট অফ প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন অ্যান্ড গ্রুপ ইনস্যুরেন্সের দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে।এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল, বিগত ছয় মাসে যে শিক্ষকরা অবসর নিয়েছেন, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি পেনশন। এই পরিস্থিতিতে যে শিক্ষকরা বহু দশক ধরে বাংলার ভবিষ্যত গড়ার জন্য নিষ্ঠা ভরে কাজ করেছেন, আজ তাদের ঘরেই অন্ধকার। সেই শিক্ষকদের উদ্দেশে এবার ব্রাত্য বসু বলেন যে রাজ্য নয়া নীতি চালু করবে। তবে সে কথা বললেও ফের কবে পেনশন চালু হতে পারে, সেই নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও বক্তব্য নেই।জানা গিয়েছে, পেনশনের পাশাপাশি শিক্ষকদের গ্র্যারচুয়িটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অভিযোগ, পেনশন অফিসে গিয়ে কোনও জবাব পাওয়া যায় না। সরকারি কর্মীরা শুধু নাকি শুধু বলেন, ‘দেরি হবে।’ এই করে করে ছয় মাস কেটে গেলেও এখনও কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে সল্টলেকের পুর্ত ভবনে প্রায় রোজই হাজির হচ্ছেন অবসপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।জানা গিয়েছে ডিআই অফিসের অনুমোদন নিয়ে শিক্ষকরা ডিরেক্টর অব পেনশন পিএফ অ্যান্ড গ্রুপ ইনসিওরেন্সের অফিসে সব নথি জমা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ১৯৮১ সাল থেকে রাজ্যে শিক্ষকরা পেনশন পেয়ে থাকেন। তবে গত ছয় মাস ধরে রাজ্যে অবসর নেওয়া কোনও শিক্ষক পাচ্ছেন না কোনও অবসকালীন আর্থিক সুবিধা। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষক এখন অবসর নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন পেনশনের।