✨ভুয়ো করোনাভাইরাস টিকাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। শুক্রবার সেই জনস্বার্থ মামলা করেছেন আইনজীবী সন্দীপন দাস। তাঁর দাবি, ভুয়ো ট𝕴িকাকাণ্ডে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ জড়িত আছে। রাজ্য পুলিশ সত্য উদঘাটন করতে পারবে না। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
গত বুধবার কসবার ভুয়ো টিকা ক্যাম্পের বিষয়টি সামনে আসে। সেদিনই গ্রেফতার করা হয় মূল পাণ্ডা💫 দেবাঞ্জন দেবকে। যিনি নিজেকে আইএএস অফিসার এবং কলকাতার জয়েন্ট মিউনিসিপাল কমিশনার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হযেছে ভুয়ো পরিচয়পত্র। অভিযোগ, তাতে কলকাতা পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের জাল সই ব্যবহার করা হয়েছে।
তারইমধ্যে তৃণমূলের একাধিক শীর্ষনেতার সঙ্গে দেবাঞ্জনের ছবি সামনে এসেছে। কলকাতা পুরনিগমের অনুষ্ঠানও তাঁকে দেখা গিয়েছে। তাতে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। তা নিয়ে আক্রমণ শানাচ্ছে বিজেপি, সিপিআইএমের মতো বিরোধী দল। গেরুয়া শিবিরের তরফে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয়। হাইকোর্টে মামলা করার বিষয়েও জানায় বিজেপি। 💎তারইমধ্যে জনস্বার্থ মামলা করেছেন আইনজীবী সন্দীপন দাস। পুরো টিকাকাণ্ডে কারা কারা জড়িত আছেন, তা জানতে চেয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন।
পাশাপাশি সেই ক্যাম্প থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছিল, তা নিয়েও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে ‘টিকা’ নিয়েছিলেন খোদ যাদবপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। প্রাথমিকভাবে কলকাতা পুরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিশিল্ড দাবি করে ওই ক্যাম্পে যে ‘টিকা’ দেওয়া হচ্ছিল, তা আদতে সেরাম ইনস্টিটিউটের করোনা টিকা নয়। বরং সম্ভবত কোনও অ্যান্টিবায়োটিকের মিশ্রণ হবে। চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আপাতত যাঁরা ওই ভুয়ো ক্যাম্প থেকে টিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর🐼া হচ্ছে। কয়েকজনের গায়ে ফুসকুড়ির মতো বেরিয়েছে। বাকিরা মোটের উপর সুস্থ আছেন।