উত্তর কলকাতায় তা♑লতলায় রবীনꦐ্দ্রনাথের মূর্তি ফলকে লেখা ছিল ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেব। এবার সেই রবীন্দ্রনাথের মূর্তির পাশে ফলকটিকেই সরিয়ে ফেলা হল। ওই ফলকে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পাশাপাশি সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও ছিল। যদিও তাঁদের দাবি, কিন্তু মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে ছিলেন না সুদীপ–নয়না কেউই। তাঁদের অনুমতি ছাড়া ফলকে কীভাবে তাঁদের নাম এল, তা তদন্ত করে দেখতে তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুদীপ পত্নী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ইতিমধ্যে পুলিশ ওই অনুষ্ঠানের আয়োজককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে। অনুষ্ঠানের আয়োজক তালতলার ত্রিপুরা শংকর সেন শাস্ত্রী স্মৃতি গ্রন্থাগার। গ্রন্থাগারের সম্পাদককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এছাড়াও ওই গ্রন্থাগারের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কীভাবে দেবাঞ্জন নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ হল, তা খুঁজে বের করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রনাথের মূর্তির তলায় ওই ফলকে দেবাঞ্জনের নামের পাশে পুরসভার যুগ্মসচিব বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই গ্রন্থাগারে দেবাঞ্জনের যাতায়াত ছিল। গ্রন্থাগারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই কথা জানা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, দেবাঞ্জনের আসল পরিচয় না জেনে কীভাবে একজন প্রতারকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছি🍬ল গ্রন্থাগারের সদস্যরা।
এদিকে জানা গিয়েছে, যেদিন এই মূর্তি উদ্বোধন হয়েছিল, সেই ২৬ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে ওই অনুষ্ঠানে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক তো উপস্থিত ছিলেনই না, সেই সঙ্গে কো–অর্ডিনেটর তথা প্রাক্তন কাউন্সিলার ইন্দ্রাণী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁর দাবি, তিনি বা ফলকে নাম থাকা কেউই সেদিন উপস্থিত ছিলেন না।এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানান, পুরনিগমের উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথের এই মূর্তি বসেনি। কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। ফিরহাদ হাকিমের নাম থা🔯কলেও তিনি যাননি।