কলকাতা হাইকো𒐪র্টের আইনজীবী স্বস্তিক সমাদ্দারের মৃত্যু ঘটনায় একের পর এক আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করা থেকে শুরু করে ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো রেকর্ডিং নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। কেস ডায়েরি দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ হন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সেক্ষেত্রে বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, এটা অভিযুক্তের বক্তব্য। অভিযুক্তের বক্তব্যকে সত্যি ধরেই কি পুলিশ তদন্ত করছে? তাই নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। পুলিশি তদন্তে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই মামলার তদন্ত রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী নিখোঁজ হন, রহস্যমৃত্যুর ��পর ꦿদেহ মিলল বর্ধমানে
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী স্বস্তিক সমাদ্দার বর্ধমানের ডিভিসি মোড়ের মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা। তিনღি মোটরবাইকে করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন গত ২১ জানুয়ারি। কিন্তু, তারপরে ঘরে না ফেরায় পরের দিন বর্ধমান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে যান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, সেদিন তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ২৩ জানুয়ারি নিখোঁজ ডায়েরি করে পুলিশ। গত ২৯ জানুয়ারি স্বস্তিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনায় তার এক বন্🐻ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় পুলিশি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। আদালতে স্বস্তিকের পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তাঁর মুখে এবং হাতে অ্যাসিডের দাগ ছিল। তাছাড়া মুখে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। যা পশুর নখের আঁচরের মতো। যদিও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কোনও পশু প্রথমে মুখে আঘাত করে না। তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন কেন দেহের ময়নাতদন্ত𒐪ের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়নি? গাড়ি থেকে আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে কিনা তাও জিজ্ঞেস করেন। এছাড়াও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছে কিনা, মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্রাকের রিপোর্ট কোথায়? ঘড়ি এবং মোবাইলের পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা পাশাপাশি বাইক থেকে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হয়েছে কিনা তাও জানতে চান বিচারপতি।