হরিদেবপুরে একটি ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার হল বাংলাদেশের কুখ্যাত এক অপরাধীর দেহ। ওই ঘরে বান্ধবীর সঙ্গে লিভ ইন করত নুর উন লতিফ ওরফে ম্যাক্সন নামে ওই অপরাধী। মঙ্গলবার রাতে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শুধু কুখ্যাত অপরাধী ছিল না লতিফ, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও♓ যুক্তি ছিল। তার নাম লতিফ হলেও আদতে হরিদেবপুরে তমাল রায়চৌধুরী নামেই পরিচিত ছဣিল ওই যুবক।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, লতিফ আত্মঘাতী হয়ে🦋ছে। সে প্রতিদিনই মাদকের নেশায় বুঁদ থাকত। বান্ধবীর রোজগারেই তার চলত। তাই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া প্রতিনিয়ত লেগেই থাকত। সেই কারণেই লতিফ আত্মঘাতী হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বান্ধবী অর্পিতার সঙ্গে হরিদেবপুরে ওই ঘরে গত ফেব্রুয়ারি থেকে লিভ ইন করছে লতিফ। প্রথমে ডানলপে ছিল। পরে ডের🅺া বদলে হরিদেবপুরে থাকতে শুরু করে লতিফ। মঙ্গলবার তার বান্ধবী রাতে কাজ থেকে ফেরার পর দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ রয়েছে। অনেক ডাকাডাকির পরেও লতিফের সারাশব্দ না পাওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে তাকে মৃত অবস্থায় দেখা যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপর তদন্ত শুরু করতেই পুলিশ যা তথ্য জানতে পারে তাতে রীতিমত হতবাক হয়ে ওঠেন। পুলিশ জানতে পারে বাংলাদেশের কুখ্যাত অপরাধী হিসেবে পরিচিত ছিল এই লতিফ। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রয়েছে। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এর পাশাপাশি তোলাবাজি, অস্ত্রপাচারের সঙ্গেও যুক্ত ছিল। বাংলাদেশ থেকে সে ꦫপালিয়ে ছিল কাতারে। পরে সেখানে ধরা পড়ার ভয়ে করোনা পরিস্থিতির আগেই চোরাপথে ভারতে প্রবেশ করে। এরপরে নিজের নামে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানায়। বান্ধবীর কাছে নিজেকে নিউমার্কেটের একজন মাছের ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেয় লতিফ। তখন সে ডানলপে থাকতে শুরু করে। এরই মধ্যে পুলিশ তাকে অনুপ্রবেশ মামলায় গ্রেফতার করে। তবে পরে জামিন পেয়ে ডেরা বদলে বান্ধবীর সঙ্গে হরিদেবপুরে থাকতে শুরু করে। তবে শেষ পর্যন্ত এখানেই তার মৃত্যু হল। যদিও ওই যুবক সত্যি সত্যিই আত্মঘাতী হয়েছে কিনা তা জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।