গঙ্গার পারে ভূতনাথের মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে ঘটল ভূতুড়ে কাণ্ড! ঘাটে নিউট্রাল অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি হঠাৎ গড়িয়ে পড়ল নদীতে। সেই সময় গাড়িতে শুধুমাত্র এক কিশোর ছিল। গাড়িটি নদীতে গড়িয়ে যেতে দেখে ছুটে আসেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মী। ডুবন্ত গাড়ি থেকে কোনওভাবে রক্ষা পেল ওই কিশোর। ফলে ঘটল না বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার নিমতল✅া ঘাটে।
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে রূপনারায়ণ নদে বালি চꦆুরির চেষ্টা, তলিয়ে গেল ব্যক্তি
জানা যাচ্ছে, উত্তর কলকাতার একটি পরিবার নিমতলা ঘাটে অবস্থিত ভূতনাথ মন্দিরে পুজোর দিতে এসেছিল। চার থেকে পাঁচ জন ছিলেন তারা। পুজো দেওয়ার পর গাড়িটি ঘাটেই নিউট্রাল অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। তখন শুধুমাত্র কিশোরকে গাড়িতে রাখা হয়েছিল। বাকিরা গিয়েছিলেন গঙ্গা জল সংগ্রহ করতে। তখনই আচমকা নদীর জলে গড়িয়ে যেতে থাকে গাড়ির চাকা। এদিকে, ঘটনার সময় অনেকেই খাটে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশের কর্মীও ছিলেন। তারা সকলেই চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। এদিকে, গাড়িতে থাকা কিশোরও চিৎকার করতে থাকে। কোনওভাবেই সে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছিল না। তাছাড়া গাড়িটি বড় হওয়ায় তাকে আট🧔কানোও সম্ভব ছিল না।
এই অবস্থায় নদীর জলে গিয়ে পড়ে গাড়িটি। ক্রমেই সেটি ভাসতে ভাসতে নদীর মাঝে চলে যেতে থাকে এবং জল ঢোকার ফলে একটু একটু করে ডুবতে শুরু করে গাড়িটি। তখনও গাড়ির ভিতরেই ছিল কিশোর। তখন কিশোরকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন ওই ট্রাফিক পুলি🦩শ কর্মী। কিশোরকে বাঁচাতে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি গাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করেন। তবে ব্যর্থ হন। শেষে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে চলে আসে রিভꦺার ট্রাফিক পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা।
শেষ পর্যন্ত বিপর্যয় মোকাবিলা দল গাড়ির জানলার ꦛকাঁচ কেটে কিশোরকে উদ্ধার করে। এ🐎রপর গাড়িটিকে জল থেকে তুলে আনে। উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও। তবে কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। শুধুমাত্র গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গরমের কারণে গাড়িটি আপনাআপনিই নদীতে গড়িয়ে গিয়েছিল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিমতলা ঘাটে প্রচুর মানুষের ভিড়ে জমে। তবে কিশোর উদ্ধার হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে পরিবার।