চালচলন, নীলবাতি লাগানো গাড়ি, ঝা চকচকে অফিস সবই একেবারে সরকারি পদস্থ কর্তাদের মতোই। দেবাঞ্জন দেবকে গ্রেফতার করার পর একে একে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে ভয়াবহ সব চক্রান্তর কথা। গত ২২শে জুন কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডেও অভিযোগ ওঠে ওই ভুয়ো আইএএসের বিরুদ্ধে। ভুয়ো ভ্যাকসিন শিবির মামলায় বুধবার দেবাঞ্জন দেব, ইন্দ্রজিৎ সাউ সহ ৯জনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। ৬৭দিনের মধ্য়ে ৭৫০ পাতার এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের ধারা সহ অন্তত ১১টি ধারা আরোপ করা হয়েছে। তবে টিকার নাম করে কী ধরনের তরল মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছিল তার রিপোর্টও আদালতে পেশ করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত তদন্তে কী কী উঠে এসেছে সেসব কথাও আদালতে জানানো হয়েছে। কারা কারা দেবাঞ্জনকে সহযোগিতা করেছিল, তারা আদৌ এই প্রতারণার কথা জানত কি না এটাও আদালতে জানানো হয়েছে। এদিকে সিটি কলেজেও টিকাকরণ শিবির আয়োজনের অভিযোগও উঠেছিল দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে। ইন্দ্রজিৎ সাউয়ের মাধ্যমেই এই টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই মামলারই চার্জশিট জমা পড়েছে।৭৫জন সাক্ষীও রয়েছে এই চার্জশিটে। তবে অভিযুক্তের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, চার্জশিটের প্রতিলিপি অভিযুক্তদের আইনজীবীদের দেওয়া হয়নি। সেকারনে শুনানি করা যাবে না। এদিকে দেবাঞ্জন দেবকে গ্রেফতার করার পর তদন্তকারীদের হাতে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার হাতেও এই তদন্তভার যায়। প্রসঙ্গত মাসখানেক আগে আলিপুর আদালতে দেবাঞ্জন সহ সাতজনের নামে হাজার পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল।