যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে এই ঘটনায় পুলিশের নজরে রয়েছে আরও দুজন ছাত্র। যার মধ্যে একজন বাংলা বিꦰভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং অপরজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রকে আজ বুধবার থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র তথা প্রাক্তন ছাত্রনেতা অরিত্র মজুমদার মঙ্গলবার থানায় হাজিরা দিয়েছেন। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসা করার পর 🍬ছেড়ে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: 'আমি নিজে ব়ꦇ্যাগিংয়ের শিকার, প্রয়োজন কাউন্সেಌলিং', আদালতে দাবি ধৃত JU-র পড়ুয়ার
যাদবপুরের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গে বার বার উঠে এসেছে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংগঠন ‘ফেটসু’র প্রাক্তন ছাত্রনেতা অরিত্র মজুমদার ওরফে ‘আলু’র নাম। অরিত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। ওই ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার হাজিরা দিতে বলেছিল পুলিশ। সেই মতোই এদিন সন্ধ্যায় যাদবপুর থানায় হাজিরা দেয় অরিত্র। তিনি জানিয়েছেন, তিনি ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন সোমবার তিনি কলকাতায় ফিরে𓆉ছেন। জানা গিয়ে, ছাত্রনেতা থাকার সময় আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন অরিত্র। ♛তাঁর কথাতেই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জেনারেল বডির বৈঠক হতো।
প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার খাতায় অরিত্রর সই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে অরিত্রর দাবি, তিনি ঘটনা পরের দিনই দিল্লিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ট্রেকিংয়ের জন্য কাশ্মীর গিয়েছিলেন। এর প্রমাণস্বরূপ কাশ্মীর যাওয়ার ফ্লাইটের টিকিটও তিনি সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করেন। যদিও সেই টিকিট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে এত বড় ঘটনা ঘটার পরেও তাঁকে কেন আন্দোলনে দেখা যায়নি? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটির তরফেও অরিত্রকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, যাদবপুরে ছাত্র ম🌱ৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক পড়ুয়াও পুলিশের নজরে রয়েছে। আজ যাদবপুর থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।