সাধারণত ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য মৃতের পরিবারকে বিভিন্ন থানায় দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। তাই ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়াকে আরও সরল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। কোনও স্বাভাবিক মৃত্যু বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ময়নাতদন্ত ব্যবস্থাকে এক ছাতার তলায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য মৃতদের পরিবারকে বিভিন্ন থানায় দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। এবার হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে। প্রাথমিকভাবে এসএসকেএম হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়িতে এই প্রক্রিয়া প্রথম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসেই এই প্রক্রিয়া চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে।𓆏 এর জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরে সমস্ত পুলিশ ফাঁড়িতে এই প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে। এর ফলে ময়নাতদন্তের জটিলতা কমবে বলে মনে করছে লালবাজার।
আরও পড়ুন: ফাঁকিতে ফাঁসিও না! বিশಞেষ আই কার্ডে প𓂃ুলিশ কর্মীদের গতিবিধিতে নজর লালবাজারের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ হাতে পেতে গিয়ে মৃতের পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হত। প্রয়োজনীয় নথির জন্য থানায় থানায় ঘুরে বেড়াতে হয়। ফলে নতুন ব্যবস্থায় মৃতদে🐟র পরিবারের হয়রানি কমবে। হাসপাতালে থাকা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে সব রকমের ব্যবস্থা করা হবে। এর ফলে পরিবারের হয়রানি কমবে।
পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, সামগ্রিকভাবে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিন থেকে চারটি থানা জড়িত রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে তিন চারটি থানার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করার পর তবেই পরিবারের হাতে মরদেহ তুলে দেওয়া হয়। যার মধ্যে কোন থানা এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বা মৃত্যু হয়েছে? কোনও মামলা রয়েছে কিনা? হাসপাতাল যে থানার অধীনে সেই থানা থেকে তথ্য নেওয়া। ঘটনাস্থল যে থানার অধীনে সেই থানা থেকে তথ্য নেওয়া হয় এবং সর্বোপরি মৃত ব্যক্তি যে থানার বাসিন্দা সেই থানা এলাকা থেকে তথ্য নেওয়া হয়। কার হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে? তা জানতে চাওয়া হয় সংশ্লিষ্ট থানার কাছ থেকে। তদন্তের সময় দেহ সংরক্ষণ করা হবে নাকি সে বিষয়েও তথ্য জানতে চাওয়া হয়। সবমিলিয়ে প্রায় তিন চারটি থানা থেকে তথ্য সংগ্রহ ক💖রতে গিয়ে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে পারে মৃতদের পরিবারকে। তাই ময়না তদন্ত প্রক্রিয়াকে সরল করার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে লালবাজার।