আমফানের জেরে বিদ্যুৎ সংকটের খেসারত দিতে হল আইসক্রি🅰ম ব্যবসায়ীদের। গত এক সপ্তাহে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় নষ্ট হল ১৫ কোটি টাকার আই𒈔সক্রিম।
সম্প্রতি ইন্ডিয়া🌺ন আইসক্রিম ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর (IICMA) তরফে জানানো হয়েছে, আইসক্রিম উৎপাদক, ডিলার ও খুচরো বিক্রেতারা বিদ্যুৎ পরিষেবার উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে তাঁদের বিপুল ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। আমাদের হিসেব মতো, কলকাতায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় নষ্ট হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকার আইসক্রিম।’
সংগঠনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতা শহরে প্রায় ৩০,০০০ আইসক্রিমের দোকান রয়েছে এবং ডি🉐স্ট্রিবিউটর রয়েছেন প্রায় ৫০০ জন। প্রতিটি দোকানে গড়ে ৫,০০০ টাকা মূল্যের আইসক্রিম রাখে। ডিস্ট্রিবিউটরদের প্রত্যেকের গুদামে থাকে দিনপ্রতি ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার আইসক্রিম। এ ছাড়াও শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো আইসক্রিম বিক্রির ঠেলাগাড়ির জন্য বরফ দরকার হয়। বিদ্যুৎ সংকটের কারণে ফ্রিজার কাজ না করায় এবং বরফের জোগানে টান পড়ায় বিপুল পরিমাণে আিসক্রিম নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
আমফানের তাণ্ডবে গ𓆉ত বুধবার প্রায় গোটা শহরেই চরম বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার ৫ দিন পরেও বহু অঞ্চলে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হ♛য়নি।
কলকাতার সংলগ্ন অঞ্চলেও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছেন আইসক্রিম ব্যবসায়ীরা। রলিক আইসক্রিম উৎপাদক সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরব খেমানির দাবি, ‘হাওড়ার ধূলাগড়ে আমাদের কারখানায় দীর্ঘ দিন বিদ্যুৎ সংযোগ আসেনি। স্টক সংরক্ষণের জন্য প্রতিদিন ৭০,০০০ টাকা খরচ করে ডিজেল জেনারেটর চꦑালাতে হয়েচে। আমরা প্রতিদিন ৫০,০০০ লিটার আইসক্রিম উৎপাদন করি। কিন্তু বিদ্যুতেসর অভাবে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়েছে।’