পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ। কলকাতার অন্তত ১২টি রুটে এই পিপিপি মডেলে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবহণ দফতর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বেসরকারি অংশীদারিত্ব থাকবে মানেই যা খুশি করা যাবে এমনটা নয়। তবে সবথেকে বড় উদ্বেগের বিষয় হল ভাড়া বৃদ্ধি হবে কি না?প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে বাড়তি কোনও ভাড়া নেওয়া হবে না। সূত্রের খবর, হাওড়া-ইডেন সিটি-মহেশতলা এস ৪৭ রুটে, হাওড়া-ব্যারাকপুর এস ৩২ রুটে ও কলকাতা স্টেশন থেকে বেসরকারি সংস্থাকে বাস চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে। বাসগুলি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে। এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে জমা রাখা হবে। বাস দেওয়ার সময় এটা নেওয়া হবে। প্রতি মাসে ৬-৮ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হবে। কিন্তু বাস চালানোর ক্ষেত্রে সবটাই করতে হবে সরকারি নিয়ম মেনে। সরকার যে ভাড়া ঠিক করে দেবে সেটাই নিতে হবে। কোনওভাবেই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। যদি কোনও বাস অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বড় শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে তাকে। তবে এই বাসে যে কন্ডাক্টর ও চালক থাকবেন তা বেসরকারি সংস্থার হাতেই থাকবে। এদিকে এই বাস সরকারের নির্দিষ্ট করা ডিপোতেই রাখতে হবে। এরপর সেখান থেকে প্রয়োজনে বের করতে হবে। আবার রাতে সেখানে এসেই বাস রাখতে হবে।কিন্তু কেন বেসরকারি হাতে বাস তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত? সূত্রের খবর, বাস চালিয়ে লাভ সেভাবে হচ্ছে না। সেকারণেই কিছু বাসকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমজনতার প্রশ্ন, সরকার এত পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও লাভ করতে পারছে না। অথচ বেসরকারি সংস্থা লাভ করে ফেলবে এটা কি করে সম্ভব?তবে অনেকের মতে , বাস চালানোর ঝক্কি নিতে চাইছে না সরকার। বেসরকারি সংস্থার হাতে দিয়ে মাস গেলে একটা মোটা টাকা নিতে চাইছে সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত এতে পরিষেবা কতটা মিলবে, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য কতটা বজায় থাকবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।