সরাসরি কারও নাম নিলেন না। তবে রীতিমতো বিতর্ক উস্কে সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য দাবি করলেন, নিজেদের ‘রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি’-র জন্য কেউ কেউ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ব্যবহার করছেন। তাঁর উপর 'চাপ' তৈরি করা হয়েছিল।রবিবার সকালে সৌরভকে দেখতে উডল্যান্ডস হাসপাতালে আসেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। পরে সৌরভের স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, 'আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যদি থাকেন, তাহলে তাঁদের পরামর্শ নেওয়া হোক। সুস্থ হয়ে গিয়েছে, এটা মনে করলে হবে না। তাকে এখনও ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।'কাজ ও পারিপার্শ্বিক চাপের কারণে সৌরভ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে অশোক বলেন, 'চাপের মধ্যে মানে, চাপ তো একটা দিয়েছে। কাগজে-টাগজে আমরা যেভাবে দেখেছি, এটা কাম্য ছিল না। সৌরভ একটা অন্য জগতের মানুষ, আমরা চাই সেই জগতেই থাকুক। সবার প্রিয় হয়ে থাকবে। কিন্তু কেউ কেউ হঠাৎ মনে করছেন যে তাকে ব্যবহার করে তাঁদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করা যাবে। এরকম যাঁরা করেছেন, (তার জেরে) ওর উপর কিছুটা প্রেশার (চাপ) তো হয়েছে। হয়নি, সেটা আমি বলব না। এটা কাম্য নয়।'বরাবরই সৌরভের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো প্রাক্তন মন্ত্রীর। অসুস্থ অশোককে দেখতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন সৌরভ। তাঁর লেখা বই প্রকাশ করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট। গত ৩০ ডিসেম্বর সৌরভের বাড়িতেও এসেছিলেন অশোক। ঘণ্টাখানেক একান্ত আলোচনা করেন। তার কয়েকদিন আগেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সৌরভ। পরদিনই দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলার একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একইমঞ্চে হাজির ছিলেন। তার জেরে বিধানসভা ভোটের আগে সৌরভের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়। সৌরভ নিজে সেই জল্পনা এড়িয়ে গেলেও সৌরভকে রাজনীতিতে না আসার পরামর্শ দেন অশোক।রবিরারও সৌরভকে একই পরামর্শ দেন প্রাক্তন মন্ত্রী। বলেন, 'সৌরভ তো স্বাভাবিকভাবে যে জগতে আছে, সেই জগতে থাকতে চায়। সৌরভ তো আমায় কখনওই (রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে) বলেনি। আমিও ওকে বলেছি, আমি চাই না যে তুমি কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হও। আমার সঙ্গে তো দ্বিমত পোষণ করেনি।' তবে সেই 'চাপ'-এর কারণেই এরকম অসুস্থতা হল কিনা, তা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেননি অশোক। তিনি শুধু বলেন, 'সেটা আমি বলতে পারব না, সেটা চিকিৎসকরা বলতে পারবেন। কিন্তু আমি শুধু একটাই চাইছি, এই মুহূর্ত যেন ওর উপর যেন কোনওরকমভাবে মানসিক-রাজনৈতিকভাবে কোনও চাপ না হয়। সেটা দেখাটা আমাদের সবার কর্তব্য।'