লোকসভা নির্বাচনের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস রফতানি করার উপর নিয়ন্ত্রণ করে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ক🦹িন্তু তা মিটতেই সেই নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া হয়েছে। আর তাই বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। রফতানির উপর নিয়ন্ত্রণ উঠে যাওয়ার পর থেকেই দাম বেড়েছে চাল থেকে পেঁয়াজের। এবার ভোজ্য তেলের উপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে ২২ শতাংশ। তাই এখন সব ধরনের ভোজ্য তেলের খুচরো দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। এই আবহে আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে চাল, ডাল, তেলের দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে। যার জেরে বাজারে গিয়ে গৃহস্থদের নাভিশ্বাস উঠছে জিনিসপত্র কিনতে।
এখন বাংলাজুড়ে দুর্গাপুজো চলছে। অন্যান্য রাজ্যেও ছোট–বড় দুর্গাপুজো হচ্ছে। তার মধ্য🎃ে এমন দাম বেড়ে যাওয়ায় চাপ বাড়তে শুরু করেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ আতপ চাল রফতানি বন্ধ করা হয়। এখন সেটা উঠে গিয়েছে। সিদ্ধ চালের উপর রফতানি শুল্ক কমেছে। এই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের জেরে খে𒁏ালা বাজারে এখন ধান এবং চালের দাম বাড়ছে। পেঁয়াজ রফতানি নির্বাচনের আগে বন্ধ করা হয়। এখন অনুমতি মিলে গিয়েছে। সব মিলিয়ে এখন সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে। যা কিনতে গিয়ে আমজনতার পকেটে চাপ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ‘হিন্দুদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হতে দেওয়া হবে না’, কড়া বার্তা দিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
এদিকে বাংলায় দুর্গাপুজোর সময় টাস্ক ফোর্সকে বাজারে দেখা গিয়েছে। কিন্তু দাম বৃদ্ধি ঠেকানো গেল না। শাক–সবজি থেকে মাছ–মাংসের দাম উর্দ্ধমুখীই রয়েছে। তার সঙ্গে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় হেঁসেলে কার্যত আগুন লেগেছে। তবে চাল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে মিল মালিক সংগঠনের কার্𝔉যকরী সভাপতি আবদুল মালেক বলেন, ‘এই ঘটনায় চাষিরা ধানের দাম বেশি পাবেন। এখন মোটা স্বর্ণ ধানের দাম খোলাবাজারে কুইন্টালে ২০০ টাকা বেড়েছে। গোবিন্দভোগ বেড়েছে ৪০০ টাকা। মিনিকিট চাল𒈔ের দাম কেজিতে ২ টাকার মতো বেড়েছে।’ তবে খুচরো দাম বেড়ে যাওয়ায় চাপ বেড়েছে মধ্যবিত্তের।