প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে শুক্রবার ৩৬,০০০ অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীর নিয়োগ খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর রায়ে উল্লেꦛখ করেছেন, একের পর এক নিয়ম ও বিধি পদদলিত করে ২০১৬ সালে প্রাথমিকের নিয়োগপ্রক্রিয়া চালানো হয়েছে। আর তার মধ্যে সব থেকে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে অ্যা🐻পটিউড টেস্টের ক্ষেত্রে। কী ভাবে অ্যাপটিটিউড টেস্টে দুর্নীতি হয়েছে তাও বিস্তারে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রায়ে উল্লেখ করেন, অ্যাপটিটিউড টেস্টে দুর্নীতি শুরু হয়েছে পরীক্ষক নিয়োগ থেকে। এজন্য কোনও পরীক্ষককে নিয়োগের কোনও নথি দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ফোন করে তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হতে বলা হয়েছে। অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়েছেন বলে বোর্ড দাবি করেছে, এমন ৩০ জন পরীক্ষককে আদালতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিজে। সেখানে ২৬ জন জানিয়েছেন, আলাদা করে কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি। যে ৩০ জনকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তাদের প্রত্যেতের প্রতিক্রিয়া রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, উত্তর দিনাজপুরে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার দায়িত্বে থাকা পরীক্ষক নকুল কিস্কু তাঁকে জানিয়েছেন, অ্যাপটিটিউড ট💮েস্ট কাকে বলে সেটাই তিনি জানেন না। উত্তর দিনাজপুরের আরেক পরীক্ষক মারুফ আলম জানিয়েছেন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট মানে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও আত্মপ্রত্যয়। অর্থাৎ কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই মর্জি মতো নম্বর বসানো হয়েছে।
রায়🧔ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি লক্ষ্য করেছেন যারা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কম নম্বꦜর পেয়েছেন তাঁদের অ্যাপটিটিউড টেস্টে বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। একটি তালিকা দিয়ে তা বুঝিয়েছেন তিনি।
আদালত আরও জানিয়েছে, হলফনামায় প্রাথমিক প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ উল্লেখ করেছে টেট, অ্যাকাডেমিক নম্বর ও ইন্টারভিউ সহ যাদের ꦅনম্বর ১৪.১৯১ বা তার বেশি পেয়েছেন তারাই যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। কিন্তু অন্তত ৮২৪ জন এমন প্রার্থীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যারা ১৩-র কম পেয়েও চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছেন। রায়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই নিয়োগে প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণবিধি মানেনি পর্ষদ। কোন শ্রেণিতে ন্যূনতম কত নম্বর পেলে তবে যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে পর্ষদের কাছে তার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু সেই তালিকা আদালতে জমা পড়েনি। যা তথ্য গোপনের চেষ্টা বলে মনে করেছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, নিয়োগপ্রক্রিয়া পরিচালনা করতে আইন মেনে কোনও কমিটি গঠন করেনি পর্ষদ। বদলে তারা একটি বেসরকারি সংস্থাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যাকে পর্ষদের নথিতে ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রায়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন, ক্লাবে নিয়োগের মতো করে নিয়োগপ্রক্রিয়া চলেছে। সমস্ত আইন জেনেও ত༺া মানেননি পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।