রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঘটনায় ইতিমধ্যেই এফআইআর করা হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। আর আজ, মঙ্গলবার রাজভবনের ৭ জন কর্মীকে একসঙ্গে তলব করা হল হেয়ার স্ট্রিট থানায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় তলব করা হয়েছিল রাজভবনের তিন কর্মীকে। তবে তাঁরা থানায় হাজির হননি বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে পুলিশ রাজভবনের সেই তিন কর্মীকে ফের হাজিরার নোটিশ পাঠায়। মঙ্গলবার সেই তিন কর্মীকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। এদিকে অভিযোগ, তলবের নোটিশ পাওয়া তিনজন কর্মীর মধ্যে একজন নাকি কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এছাড়া রাজভবনের আরও চার কর্মীকে আজ থানায় আসতে বলা হয়েছে। (আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার ওপর বিরক্তি, মেট্রোর কাজ নিয়ে 'মঙ্গলবার্তꩵা' শোনাবে আদালত?)
আরও পড়ুন: ඣডিএౠ-র পর গ্র্যাচুইটি নিয়ে নয়া নির্দেশ, চাকরিজীবীদের মুখের হাসি কেড়ে নিল EPFO
আরও পড়ুন: সাগরে নꦿিম্নচাপ তৈরি হতেই ভারী বৃষ্টি শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গে,পূর্বাভাস ⛦হাওয়া অফিসের
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলা মহিলাকে রাজভবনে আটকে রাখার জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে রাজভবনের বিশেষ সচিব এসএস রাজপুত এবং দুই চুক্তিভিত্তিক কর্মী - কুসুম ছেত্রী ও সন্ত লালের বিরুদ্ধে। এই আবহে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই ঘটনায়। প্রসঙ্গত, মে মাসের ২ তারিখের এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অভিযোগকারী মহিলা রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে যাচ্ছেন। এদিকে অন্য এক ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এফআইআর-এ নাম থাকা কুসুম ছেত্রী অভিযোগকারীর ব্যাগ হাতে নিয়ে আছেন। যা থেকে পুলিশ অনুমান করছে যে অভিযোগকারীকে আটকানোর চেষ্টায় সামিল ছিলেন কুমুসও। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, সেদিন ওই মহিলা পুলিশের কাছে যাওয়ার আগে এক সচিবের ঘরে গিয়েছিলেন। পুলিশ ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, রাজভবনের কনফারেন্স রুমে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ মিনিট ছিলেন তিনি। (আরও পড়ুন: কর্মী সংখ্যা কমলেও ক্রমে 'স্মার্༺ট' 𒀰হচ্ছে কলকাতা মেট্রো, সামনে এল নয়া তথ্য)
আরও পড়ুন: ইস্ট-ওয়েস🐻্ট মেট্রোয় এল বড় বদল, দিশা দেখাবে কলকাতার বাকি রুটগুলিকেও
রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা পুলিশের কাছে যে ফুট♛েজ পৌঁছেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে অভিযোগকারী মহিলা কর্মী কনফারেন্স রুমের নীচের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে যাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর আগে সেই মহিলা রাজভবনের এক সচিব এবং এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এদিকে পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, কোনও ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে এই তদন্ত হচ্ছে না। বরং রাজভবনের ভিতরে কী ঘটেছিল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এখন রাজভবনের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী, রাজভবনের দোতলার অফিস ঘরে জোর করে নিগ্রহ করা, আটকে রেখে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে ওই তিন কর্মীর বিরুদ্ধে।