বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। লক্ষ্যমাত্রা ১৫ দিনের। এই ১৫ দিনের মধ্যে বাংলার সর্বত্র রামের না🧜ম পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট নিয়েছে বিজেপি। আর তার সঙ্গে চলবে জনসংযোগ। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনে বৈতরণী পার করতে এখন রামই ভরসা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই রামের নাম–সহ জনসংযোগের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঘর ঘর যাত্রা’ কর্মসূচি। রাজ্য বিজেপির নেতারা রামের ছবি বগলদাবা করে নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাবেন। এমনটাই স্থির হয়েছে। কারণ ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। সেটাকেই ভোট ময়দানে কাজে লাগানো হবে।
এদিকে শনিবার অযোধ্যায় পৌঁছে বাল্মিকি বিমানবন্দর, রেল স্টেশন উদ্বোধন–সহ ঠাসা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গেরুয়া শিবির এই রামমন্দির নিয়ে💮 রাজনীতি করতে চাইছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। লোকসভা নির্বাচনের আগে ভগবান রামের মহিমা বাংলার প্রত্যেকট൩ি জেলায়, ব্লকে পৌঁছে দিতে চাইছে বঙ্গ– বিজেপির নেতারা। ঘর ঘর যাত্রায় অংশ নেবেন বিজেপির শীর্ষনেতারা। বিজেপির এই কর্মসূচি ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বাংলায়। সাংসদরাও সেখানে অংশ নেবেন বলে সূত্রের খবর। বিজেপির এই কর্মসূচি চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
অন্যদিকে রাম মন্দির উদ্বোধনের কথা সব বাড়িতে পৌঁছে দিযে ♔জনসংযোগের একটা পন্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে এই ১৫ দিনে বাংলার সব ঘরে পৌঁছনো সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান বিজেপির অনেক নেতারাই। একইসঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার কর্মসূচি চালাবেন বিজেপির নেতারা। অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনের সময় দেশবাসীকে অকাল দীপাবলি পালন করতে আহ্বান জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বিজেপির একটি বৈঠকে দলীয় কর্মীদেরকে এই ‘ঘর ঘর যাত্রা’ কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: চূড়ান্ꦯত ভোটার তালিকা প্রকাশের সময়সীমা বাড়াল🃏 নির্বাচন কমিশন, তারিখ কবে?
তবে এই রামের প্রচার করে কতটা ঘরে ফসল তোলা যাবে তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই রাম মন্দির দেশের পরিচয় এবং নতুন প্রজন্মের কাছে সেটি পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘রামমন্দির উদ্বোধনকে রাজন🔴ৈতিক ইস্যু করতে চাইছে বিজেপি।’ কিন্তু বাংলার মানুষ এখনও ১০০ দিনের টাকা না পেয়ে তেতে আছেন। সেখানে তাঁদের কাছে এমন প্রচার করতে গেলে ক্ষোভ উগরে দিতে পারেন তাঁরা। এখন দেখার এটার জল কতদূর গড়ায়।