গতকালই রামনবমী উপলক্ষে হাওড়ায় হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। এই একই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারত কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকাতেও। তবে অল্পের জন্য হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়েনি মধ্য কলকাতার এই জনবহুল এলাকায়। জানা গিয়েছে, গতকাল বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ প্রায় ২৫০ বাইক নিয়ে রামনবমীর মিছিল বের করা হয়েছিল। পার্ক সার্কাসের সেভেন পয়েন্ট ক্রসিং দিয়ে মিছিলটি পার্ক স্ট্রিটের দিকে এগোতে থাকে। সেই সময় ধর্মীয় স্লোগান তুলছিলেন মিছিলের লোকেরা। তবে সেভেন পয়েন্ট থেকে পার্ক স্ট্রিটের দিকে যেতে গিয়ে আটকে পড়ে মিছিলটি। সেখানে বেশ কয়েকজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী নমাজ আদায় করছিলেন। সেই সময় দুই পক্ষ থেকেই উসকানিমূলক কিছু মন্তব্য করা হয়। তবে পুলিশ গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছিল। হাতাহাতি শুরু হলেও পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে সচিবালয় সহায়করাꦍ, মুখ্🐷যমন্ত্রী লেখা হল খোলা চিঠি)
এদিকে ঘটনার পর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে বহু মানুষই বাইক রাস্তায় রেখেই পালান। এদিকে ঘটনায় ৪ জনকে আটকর করে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ সেই এলাকা দিয়ে আর কোনও মিছিল যেতে দেয়নি। এই ধরౠনের যেকোনও মিছিলকে মৌলালি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। এদিকে লালবাজার থেকে মধ্য কলকাতায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
আরও পড়ুন: '৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট হবে', সরকারকে💙 নাস্তানাবুদ করতে বড় ছক ডিএ আন্দোলনকারীদের
এদিকে, গতকাল হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘ༒টনা ঘিরে হিংসার ঘটনায় আজ সকাল পর্যন্ত মোট ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মিছিলের উদ্যোক্তা ছিল অঞ্জনী পুত্র সেনা নামে একটি সংগঠন। অভিযোগ, এই এলাকা দিয়ে যখন রামনবমীর শোভাযাত্রা যাচ্ছিল, সেই সময় মিছিলকে লক্ষ্য করে প্রথমে কাচের বোতল, ইট ও পাথর ছোড়া হয়। পরবর্তীতে পেট্রোপ বোমাও ছোড়া হয়। এদিকে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় সেখানে। আজ সকালেও এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।
আরও পড়ুন: 'তাঁর ভুলভাল কথা আর শুনব না', মমতাকে চরম 'আল্টিমেটাম' ডিএ আন𝔉্দোলনকারীদের
গতকালকের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যারা আজকে দাঙ্গা করেছে, যতই মামলা করুক আর হামলা করুক, কোনও অজুহাত আমি শুনব না। একজন দোষ করব𝄹ে সবার নামে দোষ হবে কেন? আমি দাঙ্গাকারীদের প্রশ্রয় দিই না। আমি দাঙ্গাকারীদের দেশের শত্রু মনে করি।' এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর পালটা অভিযোগ, তৃণমূলের উসকানি আর পুলিশের অতিসক্রিয়তায় এই ঘটনা ঘটেছে।