ঠিক দেড় বছর আগে কলকাতার আলিপুর নিবাসী শিল্পপতির মেয়ে রসিকা জৈনের রহস্যমৃত্যু হয়েছিল। সেই মৃত্যু নেপথ্যে হাত ছিল তাঁর স্বামীর বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করল বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শ্বশুরবাড়ির ছাদ থেকে 💎পড়ে মৃত্যু হয় রসিকার। সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন রসিকার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। তদন্তে নেমে রসিকার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ তদন্তকারীদের হাতে আসে। তখনই বেগতিক বুঝে রসিকার স্বামী গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। সেই আবেদন খারিজ হওয়ার পাশাপাশি সুপ্রিম♛ কোর্টও জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছিল? ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বাড়ির নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় মেলে রসিকার দেহ। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। রসিকা আত্মহত্যা করেছেন বলে চাউর করে দেওয়া হয়। রসিকার পরিবার তাঁর শ্বশুরবাড়ির দিকে অভিযোগের আঙুল তো🍌লে। তাঁদের অভিযোগ, রসিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। রসিকার স্বামী কুশল আগরওয়াল এই ঘটনার জন্য দায়ী। তারপর পুলিশের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ আসতেই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এবং ৩৯৬এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
তারপর ঠিক কী হল? এই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের ♋নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়। সূত্রের খবর, রসিকার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে পুলিশের অনুমান, ১৪ ফেব্রুয়ারির আগের দিন রস𝓡িকা এবং তাঁর স্বামী কুশলের মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়। কুশলের প্রাক্তন বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। যা জেনে যান রসিকা। তাই নিয়েই দু’জনের সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল।