কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার। সেখানে দীর্ঘ ন’বছর ধরে সাব ইনস্পেক্টর নিয়োগ বন্ধ রয়েছে🌠। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ গোয়েন্দা বিভাগ থেকে লোকাল থানা— সর্বত্র সাব ইনস্পেক্টরই তদন্তের কাজ করেন। শুধু সাইবার ক্রাইম, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, তফসিলি জাতি–উপজাতি নিগ্রহ আইনে দায়ের হওয়া মামলায় তাঁরা তদন্ত করেন না। তাহলে কি তদন্ত ব্যাহত হবে?
ঠিক কী পরিস্থিতি লালবাজারে? দীর্ঘদিন এখানে নিয়োগ না হওয়ার ফলে আগামী দিনꦬে লোকাল থানা এবং গোয়েন্দা বিভাগে দক্ষ তদন্তকারী অফিসার মেলা কঠিন হয়ে পড়বে। এই ঘটনাꦏ নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা পুলিশের নিচুতলার অফিসাররা। তবে রাজ্য পুলিশে স্বাভাবিক নিয়মে সাব–ইনস্পেক্টর নিয়োগ হয়েছে। লালবাজারের শীর্ষকর্তারা বিষয়টি জেনেও নিয়োগের উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০১৩–১৪ সালে শেষবার কলকাতা পুলিশে সাব–ইনস্পেক্টর নি🎃য়োগ হয়েছিল। তারপর থেকে এই পদে নিয়োগ বন্ধ। সাব–ইনস্পেক্টররাই তদন্তের মূল দায়িত্বে থাকেন। ইনস্পেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং ডেপুটি কমিশনার পদের অফিসাররা নজরদারির দায়িত্বে থা♐কেন। ফলে দক্ষ সাব–ইনস্পেক্টরের অভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত 𒆙হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাব–ইনস্পেক্টরদের চিত্রটি🦹 ঠিক কেমন? এখন কলকাতা পুলিশে খুব বেশি হলে ৪৭০ জন সরাসরি নিযুক্ত সাব–ইনস্পেক্টর রয়েছেন। ৭৮টি থানা, গোয়েন্দা বিভাগের ১৮–২০টি সেকশন, এসটিএফ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ট্রাফিকের ফেটাল স্কোয়াড ধরলে গড়ে তিনজন সাব–ইনস্পেক্টর (সরাসরি নিযুক্ত) রয়েছেন প্রত্যেক থানায়। আবার আট বছর ধরে বাহিনীতে কনস্টেবল নিয়োগও বন্ধ। এই নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ওসি বলেন, ‘আগে আমার থানায় কনস্টেবল ছিলেন ৪২ জন। এখন তা দাঁড়িয়েছে ১১। তাই থানা চালাতে সিভিকদের উপরই ভরসা রাখতে হচ্ছে। ’