মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় কালীঘাট মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপ। চলতি মাস থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে এইসব গোষ্ঠী। এর আগে শতাব্দী প্রাচীন কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের কাজ করছিল কলকাতা পুরসভা। তবে কাজ মন্থর গতিতে হওয়ায় অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে রিলায়েন্স গো𝄹ষ্টিকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পুজোর আগেই এই গোষ্ঠীকে মন🔯্দির সংস্কারের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
কলকাতার ম🐻েয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এই কাজ শুরু করে দিয়েছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। তাঁর আশা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভা এবং পর্যটন বিভাগের সহায়তায় মন্দিরের বাইরের কাজ শেষ করা হবে এবং একটি স্কাইওয়াক নির্মাণের বিষয়টি খতি🔴য়ে দেখা হবে। সংস্কারের দায়িত্ব হাতবদল হওয়ায় খুশি মন্দির কমিটি। তাঁদের অভিযোগ, ৪ বছর ধরে পুরসভা সংস্কারের কাজ করলেও সেভাবে এগোয়নি। যদিও পুরসভার বক্তব্য, ২০১৯ সালে কাজ শুরু হয়েছে। তারপর ২০২০ সাল থেকে করোনা অতিমারি শুরু হয়। ফলে সেই সময় কাজ থমকে যায়। তাছাড়া, মন্দিরের আশেপাশের দোকানগুলি স্থানান্তরিত করতে গিয়েও সমস্যার মুখে পড়তে হয় কলকাতা পুরসভাকে। এছাড়া বিভিন্ন উৎসব, পার্বণ রয়েছে। এসবের কারণে কাজ করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে কলকাতা পুরসভাকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরসভার কাজে অসন্তুষ্ট ছিলেন। তারপরেই তিনি রিলায়েন্স গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য পুরসভার কাছে প্রস্তাব পাঠান।
মন্দির কমিটি সূত্রে খবর, মূল মন্দির, গর্ভগৃহ, ভোগঘর, নাটমন্দির, শিবমন্দির, কুণ্ডপুকুর, মন্দিরের চাতাল-সহ ভিতরে এবং বাইরের দেওয়াল, বলির জায়গা-সহ গোটা মন্ไদির চত্বর সংস্কার হবে। মন্দিরে ঐতিহ্য বজায় রেখেই এই কাজ করা হবে। যেহেতু মা কালীর গর্ভগৃহ, ভোগঘর, নাটমন্দির, শিবমন্🎀দির গ্রেড ‘এ’ হেরিটেজের তালিকাভুক্ত। তাই সংস্কারের জন্য এ ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ কমিটি ও হেরিটেজ কমিশনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। প্রথমে মন্দিরের বাকি অংশের কাজ শুরু হবে। এরপর মূল মন্দির ও গর্ভগৃহের সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelinꦡk.me/277p/p7me4aup