বৃষ্টি চলে গেলেও রাস্তা থেকে জল নামেনি। এখনও জলযন্ত্রনা ভোগ করতে হচ্ছে মুকুন্দপুরের বাসিন্দাদের। শুক্রবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কলকাতা পুরনিগমের নিকাশী বিভাগের দায়িত্বে থাকা তারক সিং। নিকাশী ব্যবস্থার এই বেহাল দশার জন্য তিনি দায় চাপালেন সেচ দফতরের। তাঁর মতে, সেচ দফতরের গাফিলতির জন্যই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মুকুন্দপুরের বাসিন্দাদের।এদিন কলকাতা পুরনিগমের আওতাধীন মুকুন্দপুরের দুর্বিসহ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান তারক সিং। ঘটনাস্থলে যেতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই তাঁকে প্রশ্ন করেন, কেন এতদিন ধরে রাস্তায় জল জমে আছে? জল সরছে না কেন? প্রশ্নের উত্তরে নিকাশী বিভাগের দায়িত্বে থাকা তারক সিং স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মুকুন্দপুরের যে খাল দিয়ে জল নিষ্কাশিত হয়, তা অনেকদিন ধরে আবর্জনায় আটকে পড়ে রয়েছে। মুকুন্দপুরে ঢোকার জন্য যে সেতুটি রয়েছে, তা অত্যন্ত ছোট। ফলে জল সেখান থেকে বের হতে পারছে না। নিকাশী বিভাগের দায়িত্বে থাকা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য আরও জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়ে সেচ দফতরকে জানিয়েছেন। কিন্তু সব জানা সত্বেও কোনও পদক্ষেপ করেননি সেচ দফতরের আধিকারিকরা। তারক সিংয়ের মতে, খাল সংস্কার প্রয়োজন। খাল থেকে পলি উত্তোলন করা দরকার। পাশাপাশি সেতুর যে অংশগুলি জল নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সেই অংশগুলি ভেঙে এমনভাবে তৈরি করা প্রয়োজন, যাতে জল ঠিকভাবে বেরোতে পারে।প্রশ্ন উঠছে, কলকাতা পুরনিগমের পক্ষ থেকে বার বার বলা সত্বেও সেচ দফতরের আধিকারিকরা কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তাহলে কী নিকাশী বিভাগের সঙ্গে সেচ দফতরের আধিকারিকদের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। ইতিমধ্যে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে ওই সেতুটি সম্পর্কে নোট পাঠাতে বলেছেন কলকাতা পুরনিগমের নিকাশী বিভাগের প্রধান। উল্লেখ্য, কলকাতা লাগোয়া এলাকায় জল জমা রুখতে খালের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা আগেই বলেছিলেন পুরনিগমের প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। আগামী মঙ্গলবার ফের কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাই এখন থেকেই আতঙ্কে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।