অসুস্থ হলেন আরজি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ধৃত অভিজিৎ মণ্ডল। টালা থানার প্রাক্তন ওসি গতকাল নাকি শিয়ালদা আদালত থেকে ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর জেরে তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলের হাসপাতালে রাখা হয়েছে। গতকাল আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। এই আবহে শিয়ালদা কোর্টে হাজির করানো হয়েছিল অভিজিৎকে। এরপর শুনানি শেষে আদালত থেকে জেলে ফেরার জন্য যখন তিনি প্রিজন ভ্যানে উঠছিলেন, সেই সময় নাকি তিনি পড়ে যান। এই আবহে অসুস্থ বোধ করছেন বলে অভিযোগ করেন অভিজিৎ। এরপই তাঁকে দ্রুত প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: মুখে হাসি, পকেট ভারী! পুজোর আগে ৬🃏০০০ টাকা বাড়☂ল এই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে রহস্যের পাহাড়, তারই মধ্๊যে অবশেষে বড় 'সূত্র' এল CBI-এর হাত🔜ে
আরও পড়ুন: রাজ্য🌸ে নিয়োগ পাচ্ছেন ১৪০৫২ শিক্ষক, মাসে মাসে কত বেতন-DA-HRA হাত🌃ে আসবে তাঁদের?
এদিকে গতকাল আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফ থেকে। গতকাল আর তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়🌳ার আবেদন করেনি সিবিআই। কেন্দ্রী🐠য় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইলের ফরেন্সিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট পেলে দু'জনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হতে পারে। সিবিআই আরও তিনদিন ওই দু'জনকে নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারবে। এদিকে গতকাল প্রাক্তন ওসির জামিনের আর্জি জাানো হয়েছিল আদালতে। অভিজিতের জামিনের আর্জি জানিয়ে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, মক্কেলকে এখনও মূল অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেনি সিবিআই। অভিজিতের বিরুদ্ধে সিবিআই যে অভিযোগ করেছে, তাঁর নামে সেই ধারাও যোগ করা হয়নি এখনও।
আরও পড়ুন: মানা হচ্ছে না প্রতিশ্রুতি, ফের নবান্নে মুখ্যসচিব🎶কে ইমেল জুন𓆉িয়র ডাক্তারদের
এদিকে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয় যে টালা থানার মধ্যেই ভুয়ো নথি বানানো হয়েছিল এবং তথ্যপ্রমাণের হেরফের করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে টালা থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা༺ হয়েছে। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে হার্ড ডিস্ক এবং ডিভিআরও। যে রিপোর্ট দিনদুয়েকের মধ্যে চলে আসবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে সিবিআই। তারইমধ্যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় যাতে রুদ্ধদ্বার শুনানি হয়, সেই আবেদনও জানায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে যেভাবে জনরোষ আছড়ে পড়েছে, তা ‘বিরল থেকে বিরলতম’। যদিও রুদ্ধদ্বার শুনানির বিরোধিতা করেন টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিতের আইনজীবী। শিয়ালদা আদালতে সিবিআই ইঙ্গিত করে যে আরজি কর মামলার তদন্তের নিষ্পত্তি হতে সময় লাগবে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়, ‘আমাদের হাতে এমন কোনও জাদুকাঠি নেই যে এখনই তদন্তের নিষ্পত্তি হবে।’